8 প্রসূতিতন্ত্র। সেজন্ত র্তাহারা বিবাহের কাল সম্বন্ধে নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন যে,— “অভিমত বিদ্যালাভের পর,পচিশ বৎসরের পুরুষের সহিত বার বৎসরের কন্যার বিবাহ দিলে । তাহা হইলে,—পিতৃকুলের হিতকারক, ধাৰ্ম্মিক, ংসারের উপকারক পুত্র পৌত্ৰাদি প্রাপ্ত হইবে। ১ ।” সবিশেষ বিবেচনা করিয়া দেখিলে, মহৰ্ষি সুশ্রাতের বচনটা অতীব সমীচীন বলিয়াই বোধহয় । যেহেতু, ঐ সময়ের মধ্যেই বৰ্ত্তমান কালেও সাধারণতঃ বালকগণের বিদ্যাশিক্ষা এক প্রকার সমাপ্ত-প্রায় হইয়া থাকে ; তখন তাহার উপর সংসারের ভার অর্পিত হয়। তদ্ভিন্ন যখন বয়সের পূর্ণত হইতে থাকে, তখন স্ত্রী ও পুরুষের হৃদয়ে পরস্পর মিলনের একটা স্পৃহা অত্যন্ত বলবতী হইতে থাকে। ইহা প্রাকৃতিক নিয়ম। সুতরাং ঐসময়ে স্ত্রী ও পুরুষের ধৰ্ম্মসঙ্গত বিবাহ বন্ধন দ্বারা মিলন সংঘটিত হওয়া একান্ত বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বিবাহের অব্যবহিত পরেই গর্ভাধান কখনই কর্তব্য নহে। একথা অনেকেই মনে করিতে পারেন যে, বিবাহের পরে যুবক যুবতী একত্র মিলিত হইয়াও অসঙ্গত অবস্থায় অবস্থান করিবে, ইহ কখনই হইতে পারেনা। যদিও ব্রহ্মচারী সংযতেন্দ্রিয় পুরুষের পক্ষে এরূপ ব্যাপার দুঃসাধ্য নহে, তথাপি আমরা অকাল গর্ভাধানের নিবারণোপায় দ্বিরাগমন প্রসঙ্গে নির্দেশ করিব। ফলকথা,—এদেশে ব্রহ্মচর্য্যের পুনঃ প্রতিষ্ঠার বিশেষ আবশ্যক হইয়াছে। যতদিন না বালক মাত্রেই ব্রহ্মচৰ্য্য অবলম্বন করিলে, ততদিন আর দেশের মঙ্গল নাই। অবৈধ উপায়ে অনিয়মিতরূপে ইন্দ্রির পরিচালনা করিয়া ইনশুক্র ক্ষীণশক্তি যুবকগণের সন্তান সন্ততি কখনই মুস্তকায়, দীর্ঘজীবী, বুদ্ধি-স্মৃতি-মেধাশীল ১ । “অৰ্থান্মৈ পঞ্চবিংশতি-বর্ষীয় দ্বাদশবষ1ং পত্নীমাবহেৎ পিত্র্যধৰ্ম্মার্থকামপ্রজা; প্রাপ্যতীতি।” স্বশ্ৰত সংহিতা
পাতা:প্রসূতি-তন্ত্র.djvu/২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।