দ্বিরাগমন ও অকাল-গর্ভাধান-দোষ । a সুতরাং, বিবাহের পর হইতেই স্বামী স্ত্রীর একত্র রাত্রিবাস প্রায়ষ্ট দেখিতে পাওয়া যায়। ইহা অত্যন্ত দূষনীয় প্রথা । এপ্রথা অচিরে ত্যাগকরা কর্তব্য হইয়াছে । যেহেতু আজকাল ব্রহ্মচৰ্য্য কাহাকে বলে, স্ত্রী পুরুষ কেহই জানে না। কুসংসর্গে ও কুশিক্ষার দোষে সকলেই বিবাহের পূৰ্ব্ব হইতেই চরিত্র নষ্ট করিয়া থাকে। বিবাহের বহুপুৰ্ব্ব হইতেই বিবাহের উদ্দেশ্য উপলব্ধি করিয়া থাকে, সুতরাং অপ্রাপ্ত-বয়সেই স্বামী ও স্ত্রী মানসিক উত্তেজনা বশতঃ অবৈধভাবে মিলিত হইয়া থাকে । কাজেই, প্রতিনিয়ত মানসিক বৃত্তির উত্তেজনায় ও অপব্যবহারে অসময়ে কন্যা ঋতুমতী হয় এবং অকালে গর্ভাধান হয়। সেই অকাল-গর্ভজাত সন্তান অতি অল্পকাল মধ্যেই, এমন কি স্থতিকাগৃহেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়। দ্বাদশবর্ষে বিবাহ হইলে অবশ্য অকালে গর্ভধান হইবে এবং তাহাতে অক্ষম, রুগ্ন ও অচিরজীবী সন্তানের সংখ্যা বৃদ্ধি হইবে, এই আশঙ্কায় বর্তমান সময়ের শিক্ষিত সমাজ অত্যন্ত বিচলিত হইয়াছেন এবং তাহার প্রতিকারের জন্য অধিক বয়সে কন্যা পুত্রের বিবাহ দিবার বিষয়ে অত:স্ত উদযোগী হইয়াছেন। কিন্তু এবিষয়ে আমাদের সনিৰ্ব্বন্ধ অনুরোধ এই যে, তাহারা পুনরায় বাহাতে আমাদের সমাজে ব্রহ্মচৰ্য্য প্রতিষ্ঠিত হয়, সেবিষয়ে চেষ্টা করুন। নচেং, পবিত্র আয্য সমাজ অধঃপাতের চরমসীমায় উপনীত হইবে। আমাদের মতে বাল্যবিবাহ অনিষ্টকর নহে, বাল্যে গর্ভাধানই যত অনিষ্টের মূল। পক্ষান্তরে বাল্যবিবাহের অনেক সুবিধা ও স্থায়িফল দেখিতে পাওয়া যায়। যেহেতু, বাল্যের অবসানে যৌবনের প্রারম্ভেই মানুষের হৃদয়ে পরস্পর মিলনের যে তীব্র আকাজা জন্মে, তাহ বাহাতে বিপথে না যাইতে পারে, সেজন্য যথাসময়ে একটা ধৰ্ম্ম-বন্ধন স্থাপনের জন্য শাস্ত্রের উপদেশ—বিবাহ । অল্পবয়সের সংস্কার সহজে মুছিয়া যায় না।
- a so
চাণক্য বলেন,—“ যন্নবে ভাজনে লগ্নঃ সংস্কারো নান্যথা ভবেৎ "—