পাতা:প্রসূতি-তন্ত্র.djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বন্ধ্যা-চিকিৎসা । , VII শোণিতের কোনও প্রকার দোষ থাকে এবং স্ত্রী ও পুরুষ অহিতকর জাহার বিহারশীল হয় অথবা যদি তাহারা দুৰ্ব্বল হয় কিংবা যদি অকালে উভয়ে মিলিত হয়, তাহা হইলে রমণী সন্তানবতী হইয়াও দীর্ঘকাল পরে পুনরায় গর্ভবতী হইয় থাকে। ১ বন্ধ্যা-চিকিৎসা । যে সকল কারণে গর্ভোৎপত্তি হয় না, সে সকল কারণ পূর্বেই বলা হইয়াছে। সুতরাং গর্ভোৎপত্তির বাধা স্বরূপ দোষ সকলের সবিশেষ বিবেচনা পূৰ্ব্বক চিকিৎসা করা কর্তব্য। সাধারণ লোকের ধারণ, একমাত্র স্ত্রীগণের চিকিৎসা করাইলেই সন্তান হইবার সম্ভাবনা হইতে পারে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে এ ধারণা ঠিক নহে। কেন না, কেবল বোনি, শোণিত ও গর্ভাশয় বিশুদ্ধ হইলেই গর্ভোৎপত্তি হয় না। স্ত্রীপুরুষের আহার বিহারাদি বিষয়েও সবিশেষ লক্ষ্য রাখা উচিত। তদ্ভিন্ন, সন্তানোৎপত্তির অন্ততম বিশিষ্ট উপাদান শুক্র । সুতরাং সেই শুক্রের কোনও প্রকার দোষ ঘটিলে সস্তান জন্মে না। অতএব স্ত্রীগণের বন্ধ্যাদোষ দূর করিতে হইলে, পুরুবেরও চিকিৎসা করা কর্তব্য। যেহেতু, বর্তমান সময়ে পুরুষগণ ব্রহ্মচৰ্য্য-হীন । সুতরাং তাহাদের শুক্র যে ক্ষীণশক্তি ও নিবাঁজ হইবে, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই । পুরুষের শুক্র-দোষের এবং স্ত্রীগণের আর্তব-দোষের চিকিৎসা সম্বন্ধে ব্যবস্থাসকল পূর্বেই কথিত হইয়াছে। এতদ্ভিন্ন বন্ধ্যাদোষের অন্যতম ১ । “যোনিপ্রদোষাক্ষনসোইভিতাপাৎ । শুক্রাল্ফগাহারবিহারদোবাৎ । অকালযোগাস্বলসংক্ষয়াচ । গর্ভং চিরদ্বিন্দতি সপ্রজাপি ॥” 拿 চরকসংহিতা ।