এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মধুসন্ধায়ী
পাড়ায় কোথাও যদি কোনো মৌচাকে
একটুকু মধু বাকি থাকে,
যদি তা পাঠাতে পার ডাকে,
বিলাতি সুগার হতে পাব নিস্তার,
প্রাতরাশে মধুরিমা হবে বিস্তার।
মধুর অভাব যবে অন্তরে বাজে
‘গুড়ং দদ্যাৎ’ বাণী বলে কবি-রাজে।
দায়ে প'ড়ে তাই
লুচি-পাঁউরুটিগুলো গুড় দিয়ে খাই;
বিমর্ষমুখে বলি ‘গুড়ং দদ্যাৎ',
সে যেন গঘের দেশে আসি পদ্যাৎ।
খালি বোতলের পানে চেয়ে চেয়ে চিত্ত
নিশ্বাস ফেলে বলে, সকলই অনিত্য।
সম্ভব হয় যদি এ বোতলটারে
পূর্ণতা এনে দিতে পারে
দূর হতে তোমার আতিথ্য।
গৌড়ী গদ্য হতে মধুময় পদ্য
দর্শন দিতে পারে সদ্য॥
১৩ ফাল্গুন ১৩৪৬
১০৪