গ্রন্থপরিচয় রবিরাগ জানি, কবি, বাদলেও ফিকল না— তাই চাই উত্তর ( না জানিয়ে ঠিকানা )। *অপরাজিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” স্বাক্ষরে আলোচ্য কবিতা উহারই জবাবে লিখিয়৷ “পত্রদূতী’ কবিতাসহ শ্ৰীমতী রাধারানীর উদ্দেশে পাঠানো হয়। ১৩৪৫ আশ্বিনের প্রবাসী পত্রে এই নাৎনির পত্র’, ‘পত্রদূতী’ ও ‘গর ঠিকানী’ যথোচিত ক্রমে পর পর ছাপা হয় (পৃ. ৭৬০-৬২-৬৩ )। তন্মধ্যে পত্রদুতী’ কবিতাটি এ স্থলে সংকলন করা যাইতেছে — পত্রদুর্তী শ্ৰীমতী রাধারানী দেবীর প্রতি গর-ঠিকানিয়া বন্ধু তোমার ছন্দে লিখেছে পত্র, ছন্দেই তার ইনিয়ে-বিনিয়ে জবাব লিখেছি অত্র । যন্ত্রের যুগে মেঘদূত তার পদ করিয়াছে নষ্ট, তাই মাঝে পড়ে থামাথা অকাজে তোমারে দিলেম কষ্ট । আজি আষাঢ়ের মেঘলা আকাশে মন যেন উড়ো পক্ষী, বাদলা হাওয়ায় কোথা উড়ে যায় অজানা কাহারে লক্ষি । ঠিকানা তাদের রঙিন মেঘেতে লিখে দেয় দূর শূন্ত, থামে-ভরা চিঠি না যদি পাঠাই হয় না তাহারা ক্ষুন্ন । তাহাদের চিঠি আনমনাদের আসে জানালার পার্শ্বে— যে পড়িতে জানে সেই বোঝে মানে, চিঠিখানি সবাকার সে । উত্তর তার কখনো কখনো গেয়েছি আমারই ছন্দে, গুঞ্জন তারই ছড়িয়ে গিয়েছে সিক্ত মাটির গন্ধে । অচিন মিতার সাথে কারবার সে তো কবিদেরই জন্ত, সে অধরা দেয় সংগীতে ধরা কিন্তু তারা যে অন্ত । জানা অজানার মাঝখানটাতে নাতনি করেছে সন্ধি, কবির সাধ্য নাই তারে করে পোস্টাপিসের বন্দী। 3) >总>
পাতা:প্রহাসিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।