প্ৰহাসিনী মত্যের দেহে মেনে যে নিয়েছে বাধন পাঞ্চভৌত্যে, তুমি ছাড়া কারে লাগাব তাহার চার পয়সার দৌত্যে ? জানি এ সুযোগে চাও কিছু কিছু হাল-খবরের অংশ— হয় রে আয়ুতে খবরের কোঠা প্রায় হয়ে এল ধ্বংস । সেদিন ছিলাম সাতাশ-আটাশ, আশি আজি সমাসন্ন— আমার জীবনে এই সংবাদ সবার অগ্রগণ্য ॥ গৌরীপুর ভবন। কালিম্পং ৫ আষাঢ় ১৩৪৫ বহুবিধ সংস্কারে বা পরিবর্তনে এ কবিতা রূপান্তর লাভ করে ‘মানসী’ কবিতায় ( রচনা : কালিম্পং । ২২মে ১৯৪০ বা ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭ ) এবং প্রবাসী পত্রে ( শ্রাবণ ১৩৪৭ ) প্রথম প্রচারের পর সানাই কাব্যে স্থান পায় ; আজি আষাঢ়ের মেঘলা আকাশে ইত্যাদি । গরু-ঠিকানি কবিতায় দ্বিতীয় স্তবকের শেষ দুই ছত্রের পাঠ প্রথম-প্রকাশিত প্ৰহাসিনী-সন্মত । প্রবাসীতে ছাপা হয় : তাপের জলন/আনে কি সবারই আলো ? ১০ । এ কবিতায় সুচনার পঞ্চম হইতে অষ্টম অবধি যে কয় ছত্র, কবি স্বতন্ত্র ভাবে তাহা লিখিয়া পাঠান— কবিতা-সম্পাদক বুদ্ধদেব বসু -কতৃক (অনুমান হয়) লেখার তাগিদ পাওয়ার ফলে । সে লেখার তারিখ, ১৪ মাঘ ১৩৪৮ ॥৮ রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত এক ‘রবীন্দ্ৰ-পাণ্ডুলিপিতে (সমকালীন নকলে- ) এটুকু যেমন দেখা যায় ইহার পূর্বাপর আর সব ছত্রই পাওয়া যায় পরের ৪ খানি পাতায় তথা পৃষ্ঠায় ; রচনার স্থান-কাল : শাস্তিনিকেতন । ১৫ মাঘ ১৩৪৩ ১১ । দৌহিত্রী শ্ৰীমতী নন্দিতার উদ্দেশে লিখিত। কবিতাটির পুনশ্চ অংশ Ե দ্রষ্টব্য :দেশ-সাহিত্যসংখ্যা, ১৩৮১, ‘রবীন্দ্রনাথের চিঠি সংখ্যা ১১ ৯ সাধারণতঃ রবীন্দ্ররচনায় এবং এরূপ নকলে স্থানকালের ব্যবধান তেমন থাকিত না । নকলের পর অনেক সময় রবীন্দ্রনাথ স্বহস্তে নানারূপ পরিবর্তনও করিতেন । এজস্ত এগুলির মূল্য অল্প নয় ; এগুলি সর্বৈব রবীন্দ্রপাণ্ডুলিপি ন হইলেও, সগোত্র এবং সংশ্লিষ্ট।
- 》○ p