গ্রন্থপরিচয় --দাদামহাশয়ের চিঠি’ নামে ১৯৩৬ নভেম্বরের শ্ৰীহৰ্ষ পত্রেও মুদ্রিত | ১৩ । ইহার সংক্ষিপ্ত পূর্বরূপ ১৩৩৬ চৈত্রের বিচিত্রা পত্রে প্রকাশিত— নাহি চাহিতেই ঘোড়া দেয় যেই ফুকে দেয় তার থ’লে, লোক তার পরে মহা রাগ করে হাতি দেয় নাই বলে । বহু সাধনায় বিড়াল যে পায় ফুকারে সে "ওহে ওহো", বলে আঁখি মেজে, “যথেষ্ট এ যে, পরম অনুগ্রহ ।” বিপুল ভোজনে মণের ওজনে ছটাক যদি বা কমে, সেই ছটাকের চাটিতে ঢাকের গালাগালি-বোল জমে । সমুখে আসিয়া পকেট ঠাসিয়া স্তবের লম্বা দৌড়, পিছনে গোপন নিন্দারোপণ— ধন্য ধন্ত গৌড় । অবশু, ইহার আগেরও একটি রূপ দিলীপকুমার রায়কে লেখা • পত্রের অঙ্গীভূত করিয়া রবীন্দ্র-রচনাবলীতে সংকলন করা হয় ১৩৩৮ সনের রবীন্দ্রজয়ন্তী-সংখ্যা বাতায়ন হইতে । এ স্থলে তাহাও সংকলনযোগ্য— নাহি চাহিতেই ঘোড়া দেয় যেই ফুকে দেয় ঝুলি থলি, লোকে তার পরে ভারী রাগ করে হাতি দেয় নাই বলি । বহু সাধনায় যার কাছে পায় কালো বেড়ালের ছানা লোকে তারে বলে নয়নের জলে, “দাতা বটে ষোলো-আনা ? { ১ অগ্রহায়ণ ১৩৩৩ ] ১৫ জগার মালা গাথা লইয়া কৌতুকপূৰ্ণ যে বিতর্ক এ কবিতায় দাদামহাশয় শু নাতনির মধ্যে, প্রায় অর্ধশতাব্দ পূর্বে সে তর্কই উন্টারকম পরিবেশে ও পদ্ধতিতে "গদ্যে-দেখা দিয়াছিল রবীন্দ্রনাথের অপর একটি রসরচনায়, “ভারতী ও বালক’ ==L=======Note ১• চিঠিতে ৭ নভেম্বর ১৯২৫ তারিখ থাকিলেও বস্তুতঃ ১৭ নভেম্বর ১৯২৬ হইতে পারে, ত্রয়োবিংশ-খণ্ড রবীন্দ্র-রচনাবলীতে এরূপ অনুমান করা হয়। لا تلا
পাতা:প্রহাসিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।