গ্রন্থপরিচয় উপলক্ষ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত ; তাহাই গ্রন্থমধ্যে কবিতা-শেষে সংকলিত । দেশ পত্রে বিজ্ঞাপিত রচনাকাল ( ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১ মধ্যাহ' ) ভ্ৰান্ত মনে নী করিলে, প্রাথমিক কোনো খসড়ার দিন-ক্ষণ এমনও হইতে পারে। ৪২ । যে পাঠ সংযোজন’ অংশে সংকলিত তাহাই আদ্যন্ত রবীন্দ্ৰহস্তাক্ষরে পাওয়া যায়। ভিন্ন ছন্দে ঈষৎ ভিন্ন ভাবে রচিত আরেক পাঠের টাইপ-কপি রবীন্দ্রসদনে সংরক্ষিত ; হয়তো ইহাই পূর্বপাঠ কিন্তু এই অকুমানের নিশ্চিত প্রমাণ দেওয়া যায় না। ঐ পাঠ অতঃপর সংকলন করা গেল — [ দিদিমণি ] চার দিকে মোর ঠেসে সে খাটো করলে দিনকে, যেন তোমার মুঠোর মধ্যে এক করেছ তিনকে । থেকে থেকে গ্ল্যাকসে খাওয়াও চামচ দিয়ে মেপে, একটু নড়াচড়া করলে যাও তখনি ক্ষেপে । পড়তে গেলে বই চাপা দাও বলো, এখন থাকু-না। . . প্রহরগুলোর চতুর্দিকে পরিয়ে দিলে ঢাকনা । হাসপাতালের চেহারাতে রচিলে এই নীড়ট, একেবারে সাফ করেছ যত লোকের ভিড়টা। ঘড়ি-ধরা নিদ্রা আমার, নিয়ম-ঘেরা জাগা— একটুকু তার সীমার পারেই আছে তোমার রাগা । কী কব আর, রবি ঠাকুর ভয়ে তরস্ত— এত বড়ো মানুষ ছোটো হাতের করস্থ । দুপুর বেলা ঘরে গেছ, সেই ফাকে এই খাত টেনে নিয়ে লিখে দিলেম তোমার নামে যা-তা । একটু যদি বাড়িয়ে থাকি সেটা তো সম্ভাব্য – কথার সীমা রেখে চলা নয় সে কবির কাব্য । ఏ రిసె
পাতা:প্রহাসিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।