পাতা:প্রহাসিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রহাসিনী কবির কলম মেতে ওঠে কথার লম্বা চোঁড়ায়, একটু সুযোগ পেলে পরেই চার পা তুলে দোঁড়ায় । —রবীন্দ্র-দৈনিকী : সুধাকান্ত রায়চৌধুরী। দেশ, ২০ পৌষ ১৩৪৭ রবীন্দ্রনাথের শেষ রোগশয্যা-পাশ্বে বা সন্নিধানে থাকিয়া যাহারা দীর্ঘকাল সযত্বে সাবধানে তাহার সেবা করেন, তাহদের অনেকের সম্পর্কই ইঙ্গিত করিয়া অথবা উল্লেখ করিয়া রবীন্দ্রনাথ কবিতা লেখেন, ছড়া কাটেন ( কোনো কোনো ক্ষেত্রে একাধিক ছড়া বা কবিতা), তাহার সাক্ষ্য আছে 'রোগশয্যায়’ ‘আরোগ্য’ কাব্যে ও সমসাময়িক পত্র-পত্রিকায় । এই অন্তরঙ্গ সেবকগোষ্ঠীতে কবির স্নেহভাজন সুধাকান্ত রায়চৌধুরী ছিলেন বিশিষ্ট । তিনি স্বভাবতঃ সদালাপী ও রসিক ছিলেন বলিয়াই অনেক সময়ে কবিরও সস্নেহ কৌতুক বা পরিহাসের পাত্র। সংগত কারণেই রোগশয্যায়-আরোগ্য-জন্মদিনে কাব্যত্রয়ে এগুলির কোনোটি সংকলিত হয় নাই আর স্বয়ং সুধাকান্ত অন্তের সম্পর্কে লেখা বা মুখে-মুখে বলা কবিতা ও ছড়ার সমসাময়িক প্রচারে উদ্যোগী হইলেও, 4 নিজেকে সযত্নে আড়ালে রাখেন বলিয়াই মনে হয়। স্নেহের কৌতুকে, সন্দেহ নাই, পার্শ্বচর সুধাকান্ত সম্পর্কেই কবি এরূপ একটি ছড়া কাটেন— পাশের ঘরেতে ব’সে যবে খাই দই-ভাত, কান খাড়া করে থাকি যদি কভু দৈবাৎ কবিমুখ হতে বাণী থ’সে পড়ে আলসে– তখনি টুকিয়া লই নাই হল ভালো সে । কাগজে বাহির করি না মরিতে বাজটা, এত হুঁশিয়ারি জেনে এডিটরি কাজটা ॥ উদয়ন ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১ [ ৩ ফাল্গুন ১৩৪৭ ] ১৪ এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিতেছে বর্তমান গ্রন্থের ‘সংযোজন’ ও ‘গ্রন্থপরিচয় -বৃত এবং পূর্বগামী তালিকায়-নির্দিষ্ট সংখ্যা ৩৮, ৩৯, ৪১ ও ৪৬ > 3 e.