পাতা:প্রহাসিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় কালিদাস নাগকে লেখা চিঠিতে এভাবে পাওয়া যায় ( এ লেখা রবীন্দ্রনাথের পূরবী’ পর্বের মধ্যেই পড়ে তাহা না বলিলেও চলে )— বুয়েনোস আইরিস [ ২২ ডিসেম্বর ১৯২৪ ] আজ ৭ই পৌষ ।. ২৪ অক্টোবরে ‘ঝড়’ বলে যে কবিতা লিখেছিলুম তার থেকে স্পষ্ট বুঝতে পারচি যে, সেই সময়ে হাওয়া বেয়ে একটা নিবিড় ব্যথা আমাকে ঝাপটা দিয়ে গিয়েছিল ।... এবারকার কবিতাগুলো যেন স্বপ্নে লেখা— ভালো কি মন্দ তা বুঝতেই পারিনে— যখন খুসি তখন, যেমন খুসি তেমন করে লিখেই গেছি। -- কিরকম অস্বাস্থ্যের ক্লাস্তিতে হিজিবিজি লেখার মেজাজে আজকাল কবিতা লিখি তার একটা ডাকে-মারা-যাওয়া নমুনা তোমাকে নিম্নে লিখে পাঠাই :– [ অস্তিত্বের বোঝা ] অস্তিত্বের বোঝা বহন করা ত নয় সোজা । পাঠশালে কতকাল পুথিদানবের সাথে যোজা । ছেড়া ছাতা কক্ষে নিয়ে অহোরাত্র পথে পথে খোজা ডাল-ভাত বধূ বন্ধু চাকরি-বাকরি জুতো-মোজা । কোনো মাসে জোটে রুজি কোনো মাসে রুটিশূন্ত রোজা । নানা স্বরে হাসি কান্না, বোঝা ও না-বোঝা, ভুল বোঝা । সভাতলে ছুটোছুটি ঝুটোপুটি রাজা আর প্রজা ! একদিন নাড়ী ক্ষীণ, বালিসে আলসে মাথা গোজা, ভিটেমাটি বাধা রেখে বহু দুঃখে ডেকে আনা ওঝা— তহবিল ফু কি bill-এ সব-শেষে শেষ চক্ষু বোজ । ১৭ সমুদয় উদ্যুতির বানান ও চিহ্নাদি প্রায় পূর্বমুদ্রিত পাঠ-অনুযায়ী, দু-একটি সুস্পষ্ট প্রমাদ কেবল সংশোধিত। দ্বিতীয় ছত্রের শেষে রবীন্দ্রনাথ বোঝা লেখেন কিনা, পাণ্ডুলিপি না দেখিলে বলা যায় না। > 8 ○