পাতা:প্রহাসিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রহাসিনী বলা বাহুল্য এটা পুনশ্চ ডাকে মারা যাবার অভিপ্রায়েই তোমাকে লিখে পাঠালুম ; এটাভে পস্টারিটির ঠিকানার টিকিট মারা হয় নি।. খবর পাবার অাশা সম্পূর্ণ ত্যাগ করেচি। • • • যেরকম আভাস পাওয়া যাচ্চে. কৰ্ত্তারা আমাদের গোরুও মারচে, আমাদের জুতোও দান করচে ; একে বলে শূ-শাসন । ইতি রবীন্দ্রনাথ —প্রবাসী। চৈত্র ১৩৪৯, পৃ ৪৮১-৮২ পরে যে কৌতুকী কাব্যখণ্ড সংকলন করা যায় তাহ সোজাসুজি অধ্যাপক কালিদাস নাগকে লেখা না হইলেও "পেন ক্লাব’এর বঙ্গীয় সভাপতি হিসাবে তিনিই যে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ইহা সহজেই অনুমান করা যায়। ইতিপূর্বে অপ্রকাশিত (?) এ রচনার হেতু বা উপলক্ষ পরিষ্কার ভাবে জানা যাইবে নির্মলকুমারী মহলানবিশকে লেখা রবীন্দ্রনাথের একখানি চিঠি ( পত্রাবলী, ৩৫৩ । দেশ । ৭ পৌষ ১৩৬৮, পৃ. ৬৯৪-৯৫) হইতে— শান্তিনিকেতন ২২শে বৈশাখ প্রত্যুষে চার ঘটিকার সময় এখান থেকে যাত্রা করে বের হব। একটা উপলক্ষ্য আছে। পেন ক্লাব থেকে আমার জয়ন্তী উৎসব করবে কালিদাস নাগ] এবং রাধারানী দেব] মিলে এমন প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন । কিন্তু এমন নিস্তন্ধ আছেন তারা যে মনে সন্দেহ উপস্থিত হয়েছে । বউভাতে অনিমন্ত্রিত যাওয়া চলে কিন্তু নিজের জয়ন্তীসভায় অনাহুত উপস্থিত হওয়া অসম্মানজনক, বিশেষত যখন সেই সভাটাই অবর্তমান । কবির মান রক্ষণ করতে চাও যদি বরানগরে দশজন সাহিত্যিককে নিমন্ত্রণ কোরো তার বেশি নয়, তার খরচ বাবদ দশ টাকা আমিই দেব । সেই “জলযোগ” ওয়ালার পরে যদি জয়ন্তী জমাবার ভার দাও তাহলে হয়তো দেশবরেণ্য সাহিত্যসম্রাটের সম্বর্ধনা উপলক্ষ্যে তারা নিজের ব্যবসাকে সার্থক করতেও পারে। প্রতাপকে ৮ বলে দেব একটা গড়ে মালা কিনে নিয়ে আসবে। আবৃত্তি প্রভৃতি কবিসম্রাটের দ্বারাই হবে। গান গাবে তুমি ।. এখানকার স্থানীয় ভক্তের। ১৮ জোড়াসাকোর ঠাকুর-বাড়ির তৎকালীন অন্ততম কর্মচারী। X 88