পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জীবনটা কি?

প্রবন্ধ-শীর্ষের এই ক্ষুদ্র প্রশ্নটির উত্তর দিতে গিয়া পণ্ডিত-মূর্খ দার্শনিক-অদার্শনিক, বৈজ্ঞানিক-অবৈজ্ঞানিক কত লোকে যে, কত কথা বলিয়াছেন তাহার সীমা নাই। বোধ হয় যে দিন চিন্তা করিবার শক্তি মানুষকে আশ্রয় করিয়াছিল, সেই দিন হইতেই প্রশ্নটির সদুত্তরের জন্য চেষ্টা হইতেছে, কিন্তু আজও তাহার উত্তর মিলিল না। ঘোর দার্শনিক তাঁর পাঁজি পুঁথি খুলিয়া হয় ত গম্ভীরভাবে বলিবেন, এই যে তুমি, আমি, ঘটপট যাহা কিছু দেখিতেছ, সবই মায়ার রচনা। রসিক কবি হাস্যমুখে বলিবেন,

“নাঃ জীবনটা কিছু না,
একটা ইঃ একটা উঃ একটা আঃ”

কিন্তু ইহাতে ত মন বুঝে না। এই সংসারটা না হয় মায়াই হইল, এবং জীবনটা না হয় একটা ইঃ একটা উঃ এবং আর একটা আঃ হইয়া সুখে দুঃখে কাটিয়া গেল, কিন্তু এই তত্ত্বজ্ঞানটুকু দিয়া মনকে ত শান্ত করা যায় না। যে সকল জিনিষ জড়, কি প্রকারে তাহারা চেতনা পায় এবং কি প্রকারে তাহাদের ভিতরে জীবনের নানা অদ্ভুত কার্য্য চলিতে থাকে, মন তাহাই জানিতে চায়। সুতরাং দেখা যাইতেছে, তত্ত্বজ্ঞানের সীমা ছাড়াইয়া প্রশ্নটা আসিয়া পড়িল বিজ্ঞানে। আধুনিক বিজ্ঞানে ইহার কি প্রকার উত্তর পাওয়া যায়, আমরা বর্ত্তমান প্রবন্ধে তাহারই আভাস দিব।

 আধুনিক বৈজ্ঞানিকদিগের নিকট প্রশ্নটির উত্তর চাহিলে তাঁহারা