বিশ্লিষ্ট করি এবং তার পর অপর কিছুর যোগে তাহাকে আবার শ্বেতসারে পুনর্গঠিত করি, প্রাণিদেহে অবিকল সেই প্রকারেই ভাঙ্গাগড়া অবিরাম চলিতেছে! কোন দেহজ খামী উদরস্থ আমিষ খাদ্যকে ভাঙ্গিতেছে, কেহ তৈলময় খাদ্যকে বিশ্লিষ্ট করিতেছে। তার পরে আর এক নূতন খামী ঐগুলির সঙ্গে মিশিয়া হয় ত এমন কতকগুলি জিনিষের গঠন করিতেছে, যাহা স্থায়িরূপে দেহেরই অংশ হইয়া পড়িতেছে।
এই লেখায় এই অংশে একটি চিত্র থাকা উচিৎ। যদি আপনি তা দিতে পারেন, তবে, দয়া করে উইকিসংকলন:ছবি ব্যবহারের নির্দেশাবলী এবং সাহায্য:চিত্র যোগ দেখুন। |
এই সকল আবিষ্কার দ্বারা শারীরতত্ত্ব যেন নূতন জীবন লাভ করিয়াছে। আধুনিক বৈজ্ঞানিকগণ এ সম্বন্ধে যতই গবেষণা করিতেছেন, নিত্য নূতন তত্ত্ব আবিষ্কৃত হইয়া সকলকে চমৎকৃত করিতেছে। আধুনিক শারীর-তত্ত্ববিদ্গণ বলিতেছেন, দেহের সূচ্যগ্র-প্রমাণ স্থানে কোটি কোটি জীবকোষ (Cells) অবস্থান করিতেছে। ইহাদের এক একটি কোষ এক একটি বৃহৎ বিজ্ঞানাগার বিশেষ। একই বিজ্ঞানাগারে বসিয়া যেমন বহু লোকে নানা পদার্থ করেন—ঐ এক একটি কোষের ভিতরেই দশ বারোটি প্রকোষ্ঠে দশ রকম খামী (Ferment) আপনা হইতেই প্রস্তুত হইতে থাকে। প্রয়োজন বুঝিয়া এই সকল রসই ভাঙ্গা-গড়ার কাজে যোগ দেয় এবং জীবনের কার্য্য দেখায়। প্রাণীর যকৃতের এক একটি অতীন্দ্রিয় সূক্ষ্ম কোষে যে সকল খামী প্রস্তুত হয়, সেগুলির মধ্যে