পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রাণী ও উদ্ভিদের বিষ

উদ্ভিদ্ ও ইতর প্রাণীর উপর মানুষ যে কত অত্যাচার করে তাহার সীমা নাই। গো, মেষ, মহিষ, ছাগ ও শুকরাদির কথা ছাড়িয়া দিলেও দেখা যায়, ঘোটক এবং উষ্ট্রও মনুষ্যের খাদ্য। পক্ষীদের ত কথাই নাই। তা’র পর ইঁদুর, সাপ, গো-সাপ, কাঠবিড়াল, ফড়িং প্রভৃতি পতঙ্গজাতিও মানুষের কবল হইতে উদ্ধার পায় নাই। উদ্ভিদের উপর মানুষ এতটা অত্যাচার করিতে পারে না, সকল গাছপাতা বা ফলমূল স্বাদু নয়, কাজেই উদ্ভিদ্‌গুলির মধ্য হইতে অনেক দেখিয়া শুনিয়া মানুষ খাদ্যাখাদ্য নির্ণয় করে। কিন্তু আমিষ-খাদ্য-নির্ণয়ে এ প্রকার বিচার করা সকল সময়ে প্রয়োজন হয় না; সভ্য মানুষ আম-মাংস ভোজন করে না; যদি কোন প্রাণীর মাংসে কোন প্রকার অস্বাদুকর জিনিষ থাকে সিদ্ধ করিলেই তাহা নষ্ট হইয়া যায়। ফলমুল ও অনেক শাকসব্‌জি অপক্কাবস্থাতেই মানুষ আহার করে, কাজেই অগ্রে স্বাদুতা স্থির করিয়া পরে আহার্য্য বলিয়া তাহাদিগকে গ্রহণ করিতে হয়। আবার অধিকাংশ উদ্ভিদেরই দেহে যে বিস্বাদজনক পদার্থ মিশ্রিত থাকে, তাহা সিদ্ধ করিলে নষ্ট হয় না,—কাজেই সিদ্ধ করিলে যেমন সকল প্রাণীর মাংসই খাদ্য হইয়া দাঁড়ায় উদ্ভিদ্ তেমনটি হয় না। নচেৎ মানুষের অত্যাচারে হয় ত, ভূমণ্ডলের গাছপালাও বিরল হইয়া আসিত।