পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রাকৃতিকী

উল্টাইয়া মৃত্তিকা, জল, বায়ু ও অগ্নি কি কারণে মূলপদার্থ হইয়া দাঁড়াইল, তাহার অনুসন্ধান আরম্ভ করিয়াছিলেন। বীক্ষাণাগারেও দেশবিদেশে মহাপণ্ডিতগণ পরীক্ষা সুরু করিয়া দিয়াছিলেন। অল্পদিনের মধ্যে স্থির হইয়া গেল, জলবায়ু বা অগ্নিমৃত্তিকার কোনটিও মূলপদার্থ নয়। অক্সিজেন, হাইড্রোজেন প্রভৃতি কয়েকটি বায়ব পদার্থ এবং গন্ধক, তাম্র, লৌহ, স্বর্ণ, রৌপ্য, পারদ প্রভৃতি কয়েকটি তরল ও কঠিন পদার্থ সৃষ্টির মূল উপাদান। ইহার পরে অণু-পরমাণুর অস্তিত্বের প্রমাণ- প্রয়োগ করিয়া কি প্রকারে আধুনিক রসায়ন শাস্ত্রের প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল, তাহার বিশেষ বিবরণ প্রদান নিষ্প্রয়োজন। অধিক দিন নয়, দশ বারো বৎসর পূর্ব্বেও বৈজ্ঞানিকগণ সেই অণু-পরমাণুরই স্বপ্ন দেখিতেছিলেন এবং উহাদিগকে অবলম্বন করিয়াই সৃষ্টির মূল রহস্য আবিষ্কারের চেষ্টা করিতেছিলেন। সম্প্রতি এক বৃহৎ সমস্যা উপস্থিত হইয়া বৈজ্ঞানিকদিগের সেই সুখস্বপ্ন ভাঙ্গিয়া দিয়াছে।

 পদার্থকে সচরাচর কঠিন, তরল ও বায়ব, এই তিন অবস্থাতেই আমরা দেখিয়া থাকি। ত্রিশ বৎসর পূর্ব্বে ইংরাজ-বৈজ্ঞানিক ক্রুক্‌স্ (Crooks) সাহেব পদার্থের এক চতুর্থ অবস্থার কথা প্রচার করিয়াছিলেন। প্রায়-বায়ুশূন্য কাচের নলের দুই প্রান্তে ব্যাটারির তার জুড়িয়া বিদ্যুৎপ্রবাহ চালাইতে থাকিলে, শূন্য নলের ভিতর বিদ্যুৎ চলিতে আরম্ভ করে। এই পরীক্ষায় ক্রুক্‌স্ সাহেব এক প্রকার অতি সূক্ষ্ম জড়কণাকে বিদ্যুৎ বহন করিতে দেখিয়াছিলেন। কণিকাগুলিতে কঠিন, তরল বা বায়ব কোন পদার্থেরই লক্ষণ দেখা যায় নাই। কাজেই আবিষ্কর্তা উহাদিগকে পদার্থের চতুর্থ অবস্থা বলিয়া প্রচার করিয়াছিলেন। আধুনিক বৈজ্ঞানিকদিগের অন্যতম নেতা সার উইলিয়ম্‌ লজ্ (Lodge) এই অদ্ভুত কণাগুলি লইয়া পরীক্ষা আরম্ভ করিয়াছিলেন এবং ইহার ফলে জানা গিয়াছিল, তাহারা আকারে ও