গুরুত্বে লঘুতম পরমাণু অপেক্ষাও সহস্রগুণে ক্ষুদ্র! লজ্ সাহেব বুঝিয়াছিলেন, হয় ত এই জিনিষটাই সমগ্র সৃষ্ট পদার্থের মূল উপাদান, কিন্তু তখন বিষয়টির বিশেষ আলোচনা হয় নাই। কাজেই ক্রুক্স্ সাহেবের সেই চতুর্থ অবস্থার কথা চাপা পড়িয়া গিয়াছিল।
এই লেখায় এই অংশে একটি চিত্র থাকা উচিৎ। যদি আপনি তা দিতে পারেন, তবে, দয়া করে উইকিসংকলন:ছবি ব্যবহারের নির্দেশাবলী এবং সাহায্য:চিত্র যোগ দেখুন। |
প্রায় কুড়ি বৎসর হইল সুপ্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক ষ্টোনি সাহেব (Johnstone Stoney) দেখিয়াছিলেন, অনেক যৌগিক পদার্থে ব্যাটারির দুইপ্রান্ত ডুবাইয়া রাখিলে পদার্থটি বিশ্লিষ্ট হইয়া যায় এবং বিশ্লিষ্ট অংশগুলি (Ions) তারের প্রান্তে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ বহন করিয়া সঞ্চিত হইতে থাকে। ইনি মাপিয়া ঐ বিদ্যুতের পরিমাণকে ইলেক্ট্রন (Electron) নামে অভিহিত করিয়াছিলেন। ইহার পর ক্রুক্স্ সাহেবের সেই পরমাণু অপেক্ষাও ক্ষুদ্র বিদ্যুৎপূর্ণ কণিকার উপর বৈজ্ঞানিকগণের দৃষ্টি পড়িয়াছিল। হিসাবে দেখা গেল, এগুলিরও বিদ্যুতের পরিমাণ ষ্টোনি সাহেবের ইলেক্ট্রনের সহিত অবিকল এক। সকলে ক্রুক্সের সেই সুক্ষ্ম কণিকাগুলিকে ইলেক্ট্রন নামে আখ্যাত করিতে লাগিলেন, এবং চিন্তাশীল বৈজ্ঞানিকগণ জড়কণিকা ও ইলেক্টনের একতা দেখিয়া ভাবিতে লাগিলেন, এ পর্য্যন্ত স্বর্ণ-রৌপ্য হাইড্রোজেন-নাইট্রোজেন প্রভৃতিকে যে, মূলপদার্থ বলা