পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অমৃত ও গরল
১৫৫

পদার্থ উৎপন্ন করা যায় না। সুতরাং বলিতে হয়, জল জিনিষটা অক্সিজেন্ ও হাইড্রোেজনের মিলনে উৎপন্ন। যে-কোন জিনিষকে বৈজ্ঞানিকদিগের হাতে ফেলিয়া দিলে, সেটি কোন্ কোন্ মূলপদার্থের যোগে উৎপন্ন তাহা ইঁহারা ঐ প্রকার পরীক্ষায় বলিয়া দিতে পারেন। শিলা মৃত্তিকা বৃক্ষ তৃণ ধাতু অধাতু কোন জিনিষই ইঁহাদের পরীক্ষা এড়াইয়া থাকিতে পারে না, আত্মপ্রকাশ করিতেই হয়।

 বলা বাহুল্য, জগতে যত জৈব ও জড় পদার্থ আছে বৈজ্ঞানিকগণ আজও নিঃশেষে তাহাদিগকে বিশ্লেষ করিতে পারেন নাই, সকলগুলিকে খুঁজিয়া পরীক্ষাশালায় বিশ্লেষ করাও বোধ হয় অসম্ভব। কিন্তু যেগুলিকে বিশ্লেষ করা হইয়াছে, তাহাদের মধ্যে একটা অত্যাশ্চর্য্য ব্যাপার ধরা পড়িয়াছে। জীব হইতে উৎপন্ন পদার্থমাত্রকেই ভাঙ্গিয়া ইঁহারা প্রত্যেকটিতেই কয়েকটিমাত্র মূলপদার্থের অস্তিত্ব দেখিতে পাইতেছেন। হরিণের শিঙ্, ময়ূরের পালক, আমের আঁটি, আঙুরের রস, মাথার মগজ, ঘাসের বীজ, বনমানুষের লেজ, চাম্‌চিকার ডানা, খরগোসের মাংস; টিকটিকির ঠ্যাঙ্, এবং এদিকে দুগ্ধ, ঘৃত, নবনীত, চাল, ডাল, মাছ, তেল, সরভাজা, সরপুরিয়া, খাসাগোল্লা, মিহিদানা, পোলাও, কারি, কালিয়া প্রভৃতি জীব হইতে উৎপন্ন যে-কোন জিনিষ লইয়া পরীক্ষা করিয়া ইঁহারা তাহাতে কয়েকটি নির্দ্দিষ্ট পদার্থ ব্যতীত অপর কোন নূতন পদার্থের চিহ্ন মাত্র দেখিতেছেন না। এই নির্দ্দিষ্ট পদার্থগুলির সংখ্যাও খুব অধিক নয়। একটু অঙ্গারক বাষ্প, একটু জল, একটু এমোনিয়া, একটু অক্সিজেন্, একটু গন্ধক ও ফস্‌ফরস্ এবং কখন কখন একটু আধটু আকরিক পদার্থ ব্যতীত কোন জৈব জিনিষে অপর পদার্থের সন্ধান পাওয়া যায় না।

 কাজেই ঐ কয়েকটি পদার্থের যোগে যে, জৈব জিনিষ মাত্রই প্রস্তুত তাহা স্বীকার করিতে হইতেছে। কিন্তু কয়েকটিমাত্র সুপরিচিত