পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একটি নুতন আবিষ্কার
১৮৭

 আণুবীক্ষণিক পরীক্ষায় ডুবারন্ সাহেব সজীর কণাগুলির আকার সম্পূর্ণ গোল দেখিতে পাইয়াছেন, এবং কার্যবিধি পরীক্ষা করিয়া সেগুলিকে শূন্যগর্ভ অনুমান করিতেছেন। শূন্যগর্ভ জিনিষের এক পার্শ্বে ক্ষুদ্র ছিদ্র করিয়া ও তাহার কতকটা জলে পূর্ণ করিয়া যদি জলে ভাসাইয়া দেওয়া যায়, তবে তাহার ভিতরকার জল যেমন সবলে ছিদ্রপথ দিয়া বাহির হইতে থাকে তেমনি ভিতরকার জলের চাপ সমগ্র জিনিষটাকে ঠেলিয়া বিপরীত দিকে ভাসাইয়া লইয়া যায়। আমরা প্রতিদিনই নানাপ্রকারে তরল পদার্থে চাপের এই কার্য্যটিকে দেখিতে পাই। ডুবাবন্ সাহেব “সজীবকণায়” সঞ্চলন ব্যাপারটাকে চাপের কার্য্য বলিয়া অনুমান করিতেছেন। ইহার মতে, “সজীবকণা”-গুলি শূন্যগর্ভ বর্ত্তুলাকার জিনিষ হইলেও, প্রত্যেকের কোষ-প্রাচীরে অন্ততঃ দুইটি কবিয়া ছিদ্র আছে। জল বা অপর কোন তরল পদার্থে ভাসিতে আরম্ভ করিলেই, ইহারা আপনা হইতেই এক ছিদ্র দ্বারা জল উদরস্থ করিয়া অপর ছিদ্রপথে তাহা বাহির করিতে আরম্ভ করে। কাজেই ইহাতে কোষস্থ জলে চাপের একতা নষ্ট হইয়া পড়ে, এবং সঙ্গে সঙ্গে কণাগুলিও বিচিত্রগতিসম্পন্ন হইয়া ঘুরিয়া বেড়ায়।

 “সঞ্জীবকণা”-গুলিকে শূন্যগর্ভ বলিয়া স্বীকার করিয়া ডুবারন্ সাহেব কতকগুলি রাসায়নিক ও বৈদ্যুতিক সমস্যারও সমাধান করিবার চেষ্টা করিয়াছেন। লৌহ ও গন্ধক এই দুই মূলপদার্থের এক এক পরমাণু একত্র হইলে একটি যৌগিক পদার্থের (Iron sulphide) উৎপত্তি হয়। লৌহ এবং গন্ধক এই দুইয়ের কোন ধর্ম্মই পদার্থটিতে দেখা যায় না। ডুবার‍্ন্ সাহেব বলেন, লৌহের “সজীবকণা” সকল যখন গন্ধকের “সজীবকণা” গুলিকে উদরস্থ করিয়া আর এক জাতীয় “সজীবকণার” উৎপত্তি করে, কেবল তখনি লৌহ ও গন্ধকের রাসায়নিক