পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৪
প্রাকৃতিকী

দ্বারা বিশেষ কোন কাজ পাওয়া যায় না। তাহাকে পুনরায় পূর্ব্বোক্ত প্রথায় চোয়াইলে গ্যাসোলিন, বেনজিন্ ন্যাপ্‌থা প্রভৃতি অত্যাবশ্যক জিনিষগুলি পাওয়া যায়। কটাহের তৈল ফুটিতে আরম্ভ করিয়া মাঝামাঝি সময়ে যে-সকল বাষ্প ছাড়িতে আরম্ভ করে, তাহাই আমাদের পরিচিত কেরোসিনের বাষ্প। ইহ। সেই সুদীর্ঘ নল বহিয়া শীতল পাত্রে আসিয়া তরল হইলেই কেরোসিন প্রস্তুত হয়।

 এই প্রকারে যে তৈল পাওয়া যায়, তাহার সহিত আমাদের পরিচিত কেরোসিনের খুব সাদৃশ্য থাকিলেও জিনিষটাকে ঠিক্ বাজারের ভাল কেরোসিনের মত নির্ম্মল দেখায় না। ইহার সহিত শতকরা দুই ভাগ সলফিউরিক্ এসিড্ মিশাইলে ময়লা কাটিয়া নীচে থিতাইতে আরম্ভ করে এবং সঙ্গে সঙ্গে তৈল বেশ স্বচ্ছ ও দুর্গন্ধহীন হইয়া দাঁড়ায়। অতি উৎকৃষ্ট তৈল প্রস্তুত করিতে হইলে ইহার পর তৈলে এমোনিয়া বা কষ্টিক্ সোডা মিশানো হইয়া থাকে। ইহাতে তৈলে অণুমাত্র মলিনতা থাকে না, এবং দুর্গন্ধও প্রায় লোপ পাইয়া যায়।

 অপরিচ্ছন্ন আকরিক তৈল কটাহে ফুটিতে আরম্ভ করিলে সর্ব্বপ্রথমে যে ন্যাপ‍্থা প্রভৃতির বাষ্প বহির্গত হইয়া জমা হয়, তাহা তৈলরূপে ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী; কিন্তু জিনিষটার প্রস্তুতব্যয় অতি অল্প বলিয়া, অনেক ব্যবসায়ী অন্যায় লাভের আশায় ভাল কেরোসিনের সহিত এই জিনিষটাকে প্রায় মিশাইয়া থাকে। ল্যাম্প ফাটিয়া গিয়া যে-সকল দুর্ঘটনা ঘটায়, তাহার মূল কারণ ঐ ন্যাপ‍্থা ব্যতীত আর কিছুই নয়। যে-সকল তৈল একশত তেত্রিশ ডিগ্রি উত্তাপে প্রজ্বলিত হয়, সাধারণতঃ তাহাকেই উৎকৃষ্ট তৈল বলা হইয়া থাকে। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা গিয়াছে, তাহারই সহিত শতকরা একভাগ ন্যাপ‍্থা মিশাইলে মিশ্র তৈল