পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬২
প্রাকৃতিকী

যে শীঘ্রই আবিষ্কৃত হইবে তাহার লক্ষণ দেখা যাইতেছে;—বোড্ সাহেব গ্রহগণের দূরত্বের মধ্যে যে সুশৃঙ্খলা দেখিয়া অবাক্ হইয়াছিলেন, তাহারও কারণ নির্দ্দেশ করা যাইবে বলিয়া আশা হইতেছে।

 সমগ্র বিশ্ব যে গোড়ায় এক মহানিয়মের অধীন হইয়া মূর্ত্তিমান্ হইয়া পড়িয়াছে, আজকালকার নানা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে তাহার আভাস পাওয়া যায়। সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ণ পরমাণুর গঠনের সহিত বিরাট্ সৌরজগতের সংগঠনের তুলনা করিলেও ইহার লক্ষণ দেখা যায়। জর্জ্জ ডারুইন্‌ যেমন একটি বৃহৎ জ্যোতিষ্কের চারিদিকে শত শত ক্ষুদ্র উল্কাপিণ্ডের অস্তিত্ব মানিয়া জগতের অভিব্যক্তি দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছেন অতিসূক্ষ্ম পরমাণুর গর্ভে অপর বৈজ্ঞানিকগণ ঠিক্ সেই প্রকার শত শত অতি-পরমাণুকে (Corpuselcs) নিয়ত ভ্রাম্যমাণ দেখিতে পাইয়াছেন। জ্যোতিষ্কদিগের ন্যায় অতি-পরমাণুদিগের মধ্যে ঘাত-প্রতিঘাত, সংযোগবিয়োগ এবং এক এক নির্দ্দিষ্ট কক্ষায় ভ্রমণ নাই, এ কথা কেহই বলিতে পারেন না, বরং তাহারই লক্ষণ দেখা যাইতেছে। সুতরাং যদি বলা যায়, কোন এক শুভদিনে বিরাট্ জ্যোতিষ্ক-জগতের অভিব্যক্তির সূত্র আবিষ্কৃত হইলে, অতি-সূক্ষ্ম পরমাণুর মধ্যে যে সূক্ষ্মতম ক্ষুদ্র-ব্রহ্মাণ্ডগুলি রহিয়াছে, তাহারও মূল তত্ত্ব জানা যাইবে, তাহা হইলে বোধ হয় অধিক কিছুই বলা হয় না।