পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বিজ্ঞানে সূক্ষ্মগণনা

সূর্য্যের অতি নিকটে যে বুধ নামক গ্রহটি রহিয়াছে, তাহার তুলনায় সূর্য্যের গুরুত্ব একাত্তর লক্ষ গুণ অধিক কি বাহাত্তর লক্ষ গুণ অধিক, এই প্রশ্নের মীমাংসায় আমাদের কিছুই যায় আসে না, এই প্রকার অভিযোগ ‘অবৈজ্ঞানিক’ বন্ধুগণের নিকট হইতে অনেক সময়ে শুনিয়াছি। তাঁহারা বলেন, বিজ্ঞানে এত চুল চেরা হিসাব কেন? পৃথিবী হইতে সূর্য্যের দূরত্ব নয় কোটি আটাশ লক্ষ আশী হাজার মাইল, এই কথাটা শুনিলে, তাঁহারা অবাক্ হইয়া বলেন, “হাঁ, সূর্য্যটা খুব দূরে আছে বটে।” কিন্তু যখন বলা যায়, আধুনিক গবেষণায় সূর্য্যের দুরত্ব নয় কোটি ত্রিশ লক্ষ মাইল বলিয়া নির্ণীত হইয়াছে, তখন এই কথাটা তাঁদের মনে একটুও বিস্ময়ের উদ্রেক করে না। তাঁহারা হয়ত বলিয়া ফেলেন, এই এক লক্ষ কুড়ি হাজার মাইলের ন্যূনাধিকো আমাদের জ্ঞান-বৃদ্ধি হইল কোথায়! এই চুল চেরা হিসাবের ত কোন প্রয়োজনই দেখা যায় না।

 বিজ্ঞানে সূক্ষ্মগণনার প্রয়োজন এই অভিযোগকারীদিগকে এক কথায় বুঝানো কঠিন। আমরা বর্ত্তমান প্রবন্ধে কতকগুলি উদাহরণ দিয়া ঐ প্রয়োজনের বিষয় পাঠকদিগের সম্মুখে উপস্থিত করিব।

 জ্যোতিঃশাস্ত্রের কথাই আলোচনা করা যাউক; প্রাচীনত্বে বিজ্ঞানের কোন শাখাই ইহার সমকক্ষ নয়। অতি প্রাচীনযুগের সভ্য মানবগণ চন্দ্রসূর্য্য-গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি ও উদয়াস্তের মধ্যে শৃঙ্খলা দেখিয়া যে কত আনন্দ উপভোগ করিয়াছেন, তাহা আমরা অনায়াসেই