পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রসায়নীবিদ্যার উন্নতি
২৩

সম্পূর্ণ অপনীত হইয়াছে, তাহা বলা যায় না; তথাপি বৈদ্যুতিক চুল্লীর উষ্ণতা ও তরল হাইড্রোজেনের শীতলতাকে ব্যবহারে লাগাইয়া গত কয়েক বৎসরে বৈজ্ঞানিকগণ জৈব পদার্থের সংগঠনে কতকটা কৃতকার্য্য হইয়াছেন। প্রবীণ জর্ম্মান্ পণ্ডিতগণ বীক্ষণাগারে দিবারাত্রি পরীক্ষা করিয়া যে সকল রহস্যের সন্ধান পাইতেছেন, সে গুলিকেই কারখানার কাজে প্রয়োগ করিয়া বাণিজ্যের যে কত উন্নতি করিতেছেন, তাহার ইয়ত্তা হয় না।

 যে গভীর বায়ুর আবরণ আমাদের পৃথিবীকে ঘিরিয়া রহিয়াছে, অক্সিজেন্ ও নাইট্রাজেন নামক দুইটি স্বচ্ছ বায়বীয় বস্তু তাহার প্রধান উপাদান। সচরাচর আমরা যে সকল বস্তু দেখিতে পাই, তাহাতে প্রচুর অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন আছে, কিন্তু এগুলিতে উহারা সংযুক্ত অবস্থায় থাকে বলিয়া সেই সকল পদার্থ হইতে অক্সিজেন্ বা নাইট্রোজেন্ সংগ্রহ করিয়া কাজে লাগানো কঠিন হয়। তা ছাড়া এ প্রকারে যে অক্সিজেন্ ও নাইট্রোজেন্ পাওয়া যায় তাহার পরিমাণও অধিক হয় না। কিন্তু এই প্রকারে নাইট্রোজেন্ সংগ্রহ করা ব্যতীত আর উপায় ছিল না। মানুষ নাইট্রোজেনের সমুদ্রে ডুবিয়া থাকিয়াও মুক্ত নাইট্রোজেন্‌কে কি প্রকারে কাজে লাগানো যাইতে পারে, তাহা জানিত না। গত কয়েক বৎসরের চেষ্টায় বায়ুর নাইট্রোজেন্‌কে আজ কাল নানা কার্য্যে প্রয়োগ করা হইতেছে।

 নাইট্রোজেন্‌যুক্ত যে-সকল পদার্থ আজ কাল ব্যবসায় বাণিজ্যে অপরিহার্য্য হইয়া দাঁড়াইয়াছে, তাহাদের নাম করিতে গেলে প্রথমে নাইট্রিক এসিড্ নামক দ্রাবকের কথা মনে পড়িয়া যায়। কলকারখানার কাজে ইহার ন্যায় অত্যাবশ্যক বস্তু আর খুঁজিয়া পাওয়া যায় না। আধুনিক বৈজ্ঞানিকগণ বায়ুর নাইট্রোজেন লইয়া নাইট্রিক্ এসিড্ প্রস্তুত করিবার জন্য দীর্ঘ কাল চেষ্টা করিয়া আসিতেছিলেন। সম্প্রতি