পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রসায়নীবিদ্যার উন্নতি
২৭

এই সকল বাষ্পকে ছাড়িয়া না দিয়া, তাহাদিগকেও কলে পোড়াইবার ব্যবস্থা করিতেছেন এবং আংশিক কৃতকার্য্যও হইয়াছেন। এই প্রকারে কয়লা পোড়াইতে আরম্ভ করিলে, এখন যে পরিমাণ শক্তি কাজে লাগানো যাইতেছে তাহার অন্ততঃ চতুর্গুণ শক্তি আমাদের করায়ত্ত হইবে বলিয়া আশা হইতেছে। তাছাড়া কয়লার বাষ্প প্রস্তুত করিতে গেলে, যে আল্‌কাতরা ও এমোনিয়া উৎপন্ন হইবে তাহাও নষ্ট হইবে না।

 এই ত গেল অজৈব রসায়নের (Inorganic Chemistry) উন্নতির কথা। জৈব রসায়নের নানাবিভাগে গত কুড়ি বৎসরে বহু উন্নতির লক্ষণ প্রকাশ পাইয়াছে। কৃত্রিম রবার, কৃত্রিম শর্করা এবং নানা জাতীয় কৃত্রিম রঙ্গ ও গন্ধদ্রব্য প্রস্তুত করিয়া জর্ম্মানি প্রভৃতি দেশগুলি কি প্রকার ধনশালী হইয়া দাঁড়াইতেছে, তাহার বিশেষ বিবরণ প্রদান নিষ্প্রয়োজন। কৃত্রিম নীল প্রস্তুতের উপায় উদ্ভাবনের পর হইতে আমাদের দেশ হইতে নীলের চাষ এক প্রকার লোপ পাইয়াই গিয়াছে। সুলভ কৃত্রিম রঙ্গ হাতের গোড়ায় পাইয়া লোকে এখন আর মহার্ঘ লাক্ষারস বা মঞ্জিষ্ঠা রঞ্জনকার্য্যে ব্যবহার করে না। যাহা হউক এই সকল কৃত্রিম জিনিষের প্রস্তুতোপায় কি প্রকারে আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহা আলোচনা করিতে গেলে জৈব রসায়নশাস্ত্রের অধিকারে আসিয়া পড়িতে হয়।