পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
প্রাকৃতিকী

কোন এক আলোকশক্তির প্রভাবে ঘটিতেছে বলিয়া স্থিরীকৃত হয়। সাধারণ দৃশ্য বর্ণচ্ছত্রে, লোহিত ও ভায়লেট্ প্রান্তের পরেও, যে আরো কতকগুলি অদৃশ্য-বর্ণের বিকাশ হয়, তাহা পুর্ব্বোক্ত প্রকারে, হার্সেল ও রিটারের মৌলিক গবেষণায় বেশ প্রমাণিত হইয়াছিল।

 এই আবিষ্কারের পর, সুপ্রসিদ্ধ বিজ্ঞানবিৎ ওলাইন্ বর্ণচ্ছত্রের এই অদৃশ্যাংশের প্রকৃতি বিষয়ে নানা পরীক্ষাদি করিয়া, পূর্ব্বোক্ত আবিষ্কারকদ্বয়ের সিদ্ধান্তের সত্যতা প্রতিপাদন করিয়াছিলেন,— এতদ্ব্যতীত তাঁহার পরীক্ষাফলে বর্ণচ্ছত্র সম্বন্ধে অনেক নূতন তত্ত্বও প্রকাশিত হইয়াছিল। রশ্মিপুঞ্জের আলোকপথ পরিবর্ত্তন ক্ষমতা (Refrangibility) ও রাসায়নিক শক্তি, বর্ণচ্ছত্রের লোহিত প্রান্তে সর্ব্বাপেক্ষা অল্প হইয়া ক্রমে বৃদ্ধি হইতে হইতে ভায়লেট্ প্রান্তেই যে অত্যন্ত অধিক হইয়া পড়ে, তাহা ওলাষ্টনই সর্ব্বপ্রথম আবিষ্কার করেন, এবং তাপের মাত্রা ঠিক্ বিপরীত ভাবে ভায়লেট হইতে বৃদ্ধি পাইয়া যে, লোহিতেই সর্ব্বাপেক্ষা প্রবল হইয়া দাঁড়ায়, তাহাও ইনি সর্ব্বপ্রথম প্রচার করেন।

 ১৮৩৯ অব্দ হইতে কয়েক বৎসর সার্ জন হার্সেল অদৃশ্য কিরণ সম্বন্ধে নানা পরীক্ষায় নিযুক্ত ছিলেন এবং ফোটোগ্রাফের কাচের (Sensitive Plate) উপর এই আলোকের প্রভাব সম্বন্ধে নানা আবিষ্কার করিয়াছিলেন। এই সময়ে, ডাক্তার ড্রেপার নামক জনৈক মার্কিন বৈজ্ঞানিকও উক্ত বিষয়ে পরীক্ষায় নিযুক্ত ছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ তিনি বিশেষ কোন নূতন তত্ত্বাবিষ্কারে কৃতকার্য্য হন নাই,— বর্ণচ্ছত্রের কয়েক খানি ফোটো তুলিয়াই পরীক্ষায় নিরস্ত হইয়াছিলেন।

 বর্ণচ্ছত্র-সম্বন্ধে,—বিশেষ ইহার অদৃশ্য কিরণ বিষয়ে, আজ কাল আমরা যে সকল নূতন কথা জানিয়াছি, তাহার অধিকাংশই ফোটোগ্রাফি সাহায্যে প্রকাশিত হইয়াছে। আলোক বিজ্ঞানে ফোটোগ্রাফির কার্য্য