পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৮
প্রাকৃতিকী

সরিয়া ভায়লেটের দিকে যাইতে চায়। যে-সকল জ্যোতিষ্ক আমাদের নিকট হইতে দূরে যাইতেছে, তাহাদের বর্ণচ্ছত্র পরীক্ষা করিলে কাজেই সেই উদাহৃত দূরগামী রেলগাড়ির বাঁশির সুরের মত বর্ণচ্ছত্রের “উঁচু” আলো “নীচু” হইয়া পড়িবে। অর্থাৎ বর্ণচ্ছত্রে যদি হল্‌দে বা নীল প্রভৃতি বর্ণরেখা থাকে, তাহা লালের দিকে সরিয়া যাইতে চাহিবে।

 জ্যোতিষ্কের গতি দ্বারা বর্ণচ্ছত্রের রেখার এই বিচলন পরীক্ষা করিয়া আধুনিক জ্যোতির্বিদ্‌গণ নক্ষত্রের গতিবিধি সম্বন্ধে যে কত নব নব তথ্য সংগ্রহ করিয়াছেন তাহার ইয়ত্তাই হয় না। এই সকল তথ্য যে, কোন প্রকারে সংগ্রহ করিতে পারা যাইবে পঞ্চাশ বৎসরের পূর্ব্বেকার জ্যোতিষিগণ তাহা স্বপ্নেও ভাবেন নাই।

 পাঠক অবশ্যই অবগত আছেন, আমাদের পৃথিবী যেমন প্রায় চব্বিশ ঘণ্টাকালে একবার ঘুরপাক্ খায়, সূর্য্যও সেই প্রকার এক নির্দ্দিষ্ট সময়ে এক-একটা পূর্ণাবর্ত্তন শেষ করে। কিন্তু পূর্ব্বে আবর্ত্তন-কাল নিরূপণের উপায় ছিল না। এক্ষণে, আবর্ত্তনের জন্য সূর্যের বর্ণচ্ছত্রের রেখাগুলির কতটা বিচলন হইল পরিমাপ করিয়া, আবর্ত্তন-কাল নির্ণীত হইয়াছে। নক্ষত্রগুলিকে আমরা আকাশে নিশ্চল দেখি বটে, কিন্তু ইহাদের প্রত্যেকেরই এক একটা গতি আছে। ইহারা পৃথিবী হইতে অতি দূরে অবস্থিত বলিয়া হাজার দুই হাজার বৎসরের পর্য্যবেক্ষণে উহাদের বিচলন চোখে ধরা যায় না, কাজেই গতির পরিমাণ অনির্দ্দিষ্ট ছিল। আজকাল ঐসকল দুরবর্ত্তী নক্ষত্রের কেবল বর্ণচ্ছত্রের বিচলন পরীক্ষা দ্বারা মোটামুটি ভাবে গতি নির্ণয় করা হইতেছে। সুপ্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক সার্ উইলিয়ম্ হগিন্‌স্ (Huggins) কতকগুলি নক্ষত্রকে এই প্রকারে প্রতি সেকেণ্ডে ত্রিশ মাইল বেগে ধাবমান হইতে দেখিয়াছেন।

 যুগ্ম নক্ষত্রের (Binary Stars) কথা পাঠক হয়ত শুনিয়া