পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বিম্ব

জলবিম্ব যদিও আমাদের অনেকের নিকট পার্থিব ব্যাপারের ক্ষণস্থায়িত্ব ও অসারবত্তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ বলিয়া বিখ্যাত আছে, কিন্তু বৈজ্ঞানিকদিগের নিকট অনেকদিন অবধিই ইহা গভীর চিন্তা ও গবেষণার বিষয় হইয়া রহিয়াছে। অনেকানেক বিখ্যাত পণ্ডিত অসার জলবিম্বের উৎপত্তিতত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করিতে অনেক কথা বলিয়া গিয়াছেন, কিন্তু বিশ্বের প্রকৃতি ও পদার্থভেদে ইহার স্থায়িত্বের পরিবর্ত্তন বিষয়ে এ পর্য্যন্ত কেহ বেশ সন্তোষজনক কারণ দেখাইতে পারেন নাই।[১] বিখ্যাত ইংরাজ পণ্ডিত লর্ড র‍্যালে, পূর্ব্বতন বৈজ্ঞানিকগণের মত আলোচনা ও বিষয়টির নানারূপ পরীক্ষাদি করিয়া কিছু দিন পূর্ব্বে বিশ্বোৎপত্তি সম্বন্ধে একটি চিত্তাকর্ষক ও সারগর্ভ বিবরণ প্রচার করিয়াছিলেন। নানা তর্কবিতর্কের পর র‍্যালের প্রচারিত মতটি আজকাল সত্যমূলক বলিয়া পণ্ডিতসমাজে গৃহীত হইয়াছে।

 পাঠকপাঠিকাগণ দেখিয়া থাকিবেন, পরিষ্কার ও অকলুষিত তরল পদার্থে প্রায়ই বুদ্বুদ লক্ষিত হয় না। পরিষ্কৃত জল ঘন ঘন আন্দোলিত করিয়া বহু চেষ্টা করিলেও, তাহাতে স্থায়ী বুদ্বুদ উৎপন্ন হয় না এবং অবিমিশ্র আল্‌কোহল বা ঈথরেও বিম্ব দেখা যায় না। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় পূর্ব্বোক্ত পরিষ্কার জল ও আল্‌কোহল যে কোন পরিমাণে মিশ্রিত করিয়া আলোড়িত করিলে বহু পরিমাণে স্থায়ী বুদবুদ উঠিতে থাকে—কর্পূরযুক্ত জলেও অল্পায়াসে এই প্রকার অনেক বিম্ব উত্থিত হইতে দেখা যায়। বুদ্বুদ-সম্বন্ধে এই সকল সহজসাধ্য পরীক্ষা এবং আরও অনেক উদাহরণাদি দেখিয়া বৈজ্ঞানিকগণ বলেন,—বিজাতীয়


  1. See Proccedings of the Royal Institute of Great Britain, March 1890.