পাতা:প্রাকৃত ভূগোল.djvu/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> *、8 প্রাকৃত-ভূগোল । লোক ব্যবহারসিদ্ধ দেশের উল্লেথ হয় নাই ; প্রাকৃত-ধৰ্ম্মভেদে যে সকল স্থানের পার্থক্য আছে, তাহাই অামাদিগের উদেশ্য । শোসুর-নাম এক জন প্রসিদ্ধ উদ্ভিদ্বেত্তা এই বিষয়ে ভুমনিরাকরণার্থে সমস্ত-পৃথিবীকে ২৫ উদ্ভিজ্জপ্রদেশে বিভাগ করেন । ঐ প্রত্যেক প্রদেশের বিশেষ বিশেষ লক্ষণ আছে ; দৃষ্টিমাত্রেই তাহ প্রত্যক্ষ হয়। যে ব্যক্তি অনেক বন-ভুমণ করিয়াছে সে কোন এক বিশেষ বন দেখিবামাত্র কহিতে পারে ; “এই বনের লক্ষণ অমুকদেশের বনের তুল্য ”। ঐ লক্ষণ কোন এক বিশেষ বৃক্ষের বাহুল্যেই ঘটিয়া থাকে। ভারতবর্ষের সমুদ্রনিকটে নারিকেল তাল ও খজুরের আধিক্য ; মধ্যদেশে আমুের বাহুল্য । মেয়েন-নাম এক সাহেব দেশীয়-উদ্ভিজ্জ লক্ষণ বি০ শতিপ্রকারে বিভক্ত করিয়াছেন । তাহার বর্ণনানুসারে কে নি দেশ তৃণবহুল, অর্থাৎ তথার সান্যাদি তৃণ বা বণশের আধিক্য আছে। কোন দেশ কদলী-বহুল ; অর্থাৎ তথায় কদলী আদি৷ হরিদ্র অরোরুট প্রভৃতি বৃক্ষের আধিক্য আছে । ফেলস-দেশ কেয়া-বহুল ; কোন দেশ আনারস-বহুল ; কোন দেশ ঘৃতকুমারী-বহুল ; কোন দেশ তালবহুল ; কোন দেশ মাদা-বহুল ; কোন দেশ বাবলাবহুল। ইত্যাদি । দেশ-ভেদে পুষপলতাবৃক্ষাদির যে রূপ ভেদ হইয়া থাকে, খাদ্য-দ্রব্যাদিরও তদনুরূপ প্রভেদ অবশ্যই সম্ভবে। সূমেরুমণ্ডলীয় স্থানের মনুষ্যবগের প্রধান খাদ্য-দ্রব্য রাই-নামক শস্য ; তথায় ধান্যাদি কিছুই জন্মে না। তৎপাশ্বে গোধূম ;