পাতা:প্রাকৃত ভূগোল.djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* о প্রাকৃত-ভূগোল । য়াতে নদী-সকল ঐ স্থানে প্রায়ঃ বহু ধারায় বিভক্ত হইয়া, ত্রিকোণমণ্ডল-ভূমি উৎপন্ন করে ; পরন্তু সকল নদীই এই প্রকারে বহুধারণ নহে, শৈলতট-দিয়া যে নদী সমুদ্রে নিপতিত হয়, তাহ বহুধারা হয় না। আমাজন-নাম্নী মহানদী এক ধারে সমুদ্রে নিপতিত হয় । ত্রিকোণমণ্ডল-ভূমির বিবরণ পূৰ্ব্বেই উক্ত হইয়াছে, পরন্তু তথায় তাহার অবস্থা-ভেদে নাম-ভেদের উল্লেথ হয় নাই। । এক নদীর অপর নদীতে পতন-সময়ে যে ত্রিকোণমণ্ডল উৎপন্ন হয়, তাহার নাম " নাদেয় ত্রিকোণমণ্ডল’ ; যে মণ্ডল হ্রদের পার্শ্বে উৎপন্ন হয়, তাহার নাম “ হৃদয় ত্রিকোণমণ্ডল,” ও যে মণ্ডল সমুদ্র-তটে উৎপন্ন হয়, তাহার নাম “সামুদ্রিক ত্রিকোণমণ্ডল।” নদী-সকলের গতি সরল নহে, যে ভূমি-দিয়া বাহিত হয়, তাহার দৃঢ়তানুসারে তাহা সপগতির ন্যায় বক্র হয়। ঐ বক্রতায় নদীর বেগের হ্ৰাসত জন্মায় ; তাহা না থাকিলে আরম্ভাবধি শেয-পর্য্যন্ত সরল-নদীতে জলস্রোতের বেগের এতাদৃশ বৃদ্ধি হইত, যে তাহাতে সমস্ত ধ্ব^স হইত। গঙ্গা প্রারম্ভাবধি শেষপর্য্যন্ত ঋজু হঠলে, বোধ হয়, তাহার জল ১ ঘণ্টায় দুই-শত-ক্রোশ-স্থান ভুমণ করিত। নদীর বক্রতায় ঐ বেগের লাঘব হইয়া সরল ভূমিতে কুত্ৰাপি দুই তিন ক্রোশের অধিক হয় না। অপর এক্ট, বক্রতায় নদীর দৈর্ঘ্য-বৃদ্ধি করিয়া এক নদীদ্বারা অনেক স্থান সিক্ত করিবার উপায় করে । উৎস জল কি প্রকারে নদী ও কুণ্ড রূপে পরিণত ' হয়, তাহার বিবরণ উক্ত হইল। ঐ উৎসজলসম্ভুত-কুণ্ড