পাতা:প্রাচীন বাংলার গৌরব.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার তৃতীয় গৌরব রেশমের কাজ। ইউরোপীয়ের চীনদেশ হইতে রেশমের পোকা অনিয়াছিলেন এবং অনেক শত বৎসর চেষ্টা করিয়া তাহারা রেশমের কারবার খুলিতে পারিয়াছেন। তঁহাদের ংস্কার, চীনই রেশমের জন্মস্থান ; চীনেরাও তাঁহাই বলে। তাহারা বলে খ্ৰীস্টের ২৬৪০ বৎসর পূর্বে চীনের রানী তুতি গাছের চাষ আরম্ভ করেন। রেশমের ব্যাবসা সম্বন্ধে অতি প্ৰাচীনকাল হইতেই চীনদেশে অনেক লেখাপড়া আছে। চীনের রেশমের চাষ কাহাকেও শিখিতে দিত না। ঐট তাঁহাদের উপনিষৎ বা গুপ্ত বিদ্যা ছিল। জাপানীরা অনেক কষ্ট্রে ঐন্টের তৃতীয় শতকে কোরিয়ার নিকট রেশমের চাষ শিক্ষা চাষ আঁরম্ভ করেন। ইউরোপে খ্রস্টের প্রথম ও দ্বিতীয় শতকে স্থলপথে রেশমের ব্যাবসার জন্যই পঞ্জাবের শকরাজারা বেশী করিয়া সোনার টাকা চালান। ইউরোপে রেশমের চাষ ইহার অনেক পরে আরম্ভ হইয়াছে। । কিন্তু আমরা চাণক্যের অর্থশাস্ত্ৰে দেখিতে পাই, বাংলা দেশে গ্ৰীস্টের তিন চারি শত বৎসর পূর্বে রেশমের চাষ খুব হইত। রেশমের খুব কাপড়ের নাম ‘পত্রেীর্ণ’ অর্থাৎ পাতার পশম। পোকাতে পাতা খাইয়া যে পশম বাহির করে, সেই পশমের কাগ পত্ৰোৰ্ণ”।