প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ՖԵ (
ایس ایسیح - سده جهرم سمیتی -----------------------------------------
“দুঃখিত দেখিলে পরাণে বরদাস্ত না হয়।”—কিন্তু মামার চোখে এই সকল উদারতা ভাল বোধ হয় নাই— “এরে দেইখা মামু তাদের বহুৎ গালি পাড়ে। পরের ধন বিলাইতে দুঃখ নাই অন্তরে।” শেষে পষ্টাপষ্টি ভাবেই মামু তাদেরে ভৎসনা করিয়া বিদায় করিয়া দিলেন— ”একদিন কহে মামু এই সে কারণে । দলিদের গোষ্ঠী, বাড়ী ছাড়ি যা এক্ষণে ॥ একখা শুনিয়া তার দিলে দুঃখ পাইয়া। বেজার হইরা যায় মামার বাড়ী ছাড়িয়া ॥” তাহার একখানি ছোট ডের বাধিয়। পরের ক্ষেতে ভাগিদার হইয়া খাটিতে লাগিল। মালিকের ক্ষেতের ধানের একটি অংশ পাইয়া, তাহাতেই তৃপ্ত হইয়া প্রাণপণে পরিশ্রম করিতে লাগিল। শ্রমশীলের বাহু লক্ষ্মী আশ্রয় করেন, এই অল্প আয় হইতেও তাহাদের অবস্থার উন্নতি হইল, আবার কাণা-খোড়া, অন্ধ-আতুরেরা তাহাদের ক্ষুদ্র কুটারখানি ছাকিয়া ধরিল। এদিকে মাতুল সায়েস্ত। খ। তাহদের সহায়তা হারাইয়। দুরবস্থায় পড়িলেন । যাহারা বিনাকড়িতে নফরগিরি করিয়া তাহার আয় ফলাও করিয়| তুলিয়াছিল, তাহাদের অভাবে ক্রমে বৎসর বৎসর ক্ষতির পরিমান বাড়িতে লাগিল, বাহিরের লোক দিয়া সেরূপ খাটুনি ও স্বার্থরক্ষা অসম্ভব। “বিনিকড়িতে হেন নফর কোথা পাবি ।” মাতুল অনন্তোপায় হইয়া আবার ভাগিনেয়দের দুয়ারে উপস্থিত হইয়। বলিলেন— “আমার ভাগিল। কেন মজুর পরের ঘর, সকল লোকে জানে ভোদের মামা ভালেবর ।”