পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ولا يوج তিনি আরও বলিলেন—“এক কন্যা সোনাজান দিব মাছুর কাছে।” এবং তাহা হইলে ভাগিনেয়রাই যে সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইবে, তাহ; পুনরায় খুব দৃঢ়তার সহিত প্রতিশ্রুতি দিলেন। পিতার এই কথা সোনাজান শুনিল, মাছুমের প্রতি ইতিপূৰ্ব্বেই তাহার অনুরাগের সঞ্চার হইয়াছিল, পিতার প্রতিশ্রুতি শুনিয় তাহার মনের ভালবাসা সুদৃঢ় হইল, মাছুমও যারপর নাই প্রীত হইল । এই ঘটনার পর তিন বৎসর যায়, তাহারা প্রাণপণে খাটিয়া মাতুলের সমস্ত দায় উদ্ধার করিয়া দিয়াছে, আবার তাহার অবস্থা সচ্ছল হইয়াছে। fকন্তু আশার ফেরে ভ্রাতৃদ্বয় এতটা খাটিয়াও—“মামুর মনে তারা এক কড়ার মূল ন পায় ” একদিন সাহস করিয়া ভ্রাতৃদ্বয় মামার নিকট আয়ের একটা ভাগ চাহিল— “ভাগের কথা শুনিয়া মামু রুষিয়া কয় বুলে। দণ তা হইয়া তোরা মোর সকলি খোয়ালে ৷ মামুর বাড়ী ভাগ না থাকে কিসের ভাগ চাও। খাওন দেই এর বেশী আর কিছু না পাও ৷ আমি আশ্রয় দিয়াছিলাম এজন্ত আছহ বাচিয়া। এতদিন যাতি ভোরা নালায় ভাসয় ॥ আমার ভাত খাইয়া হোয়েছ মোটা তাজ । বড় হইয়া এখন আইছ, আয়ের ভাগ লিবা ।” কাছুম সোনাজানের সঙ্গে তাহার জ্যেষ্ঠ মাছুমের বিবাহের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করাইয়া দল । ক্রোধের সহিত মাতুল বলিলেন—“দিন মজুরের সঙ্গে সোনাজান বিবির বিবাহ দিব, এও কখন হয় ?” শুধু ইহা বলা নয়, অন্ত একস্থানে সোনাজানের বিবাহের প্রস্তাব চলিতে লাগিল । মাছুম বলিল –“আর না থাকিব এই দুর্জনের পুরী।” সে মুর্শিদাবাদ