ఫెని প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান তারপরে সাজায় ডিঙ্গা তার নাম সরু। সেই না ডিঙ্গার আড়ে আড়ে বাঘে মারে গরু। তারপর সাজায় ডিঙ্গা ডিঙ্গার নাম বেরু । সেই না ডিঙ্গার আড়ে থাইক কানাইয়া বাজায় বেনু ॥ তারপরে সাজায় ডিঙ্গ হবল বেতের ছানি। সেই না ডিঙ্গায় কাটে সাত বরষার পানি। তারপর সাজায় ডিঙ্গা নামেতে আস্তল । ছয় মাসের পথ হৈতে দেখা যায় মাস্তল। তারপরে সাজায় ডিঙ্গা নাম মনুহর । সেই না ডিঙ্গায় সোয়ার হৈল মাঝি গরুড়ম্বর। তারপরে সাজায় ডিঙ্গা নামে খৈয়া পেটি । ধনে মালে না পুরিলে কাটিয়া ভরে মাটি। তারপরে সাজায় ডিঙ্গা নামে গুয়াধর । সেই না ডিঙ্গায় সোয়ার হৈল জামাল সদাগর ॥” জাহাজগুলির নাম প্রাকৃত, তখনও বঙ্গদেশে সংস্কৃতের জাগরণ হয় নাই—এই জন্ত দেশ নামের ছড়াছড়ি, অনেক কথ। অতিরঞ্জিত, তথাপি এই সকল জাহাজ যে অতিকায় ছিল, তাহা বুঝা যায় । ছয় মাসের পপ হইতে মাস্তুল দেখা যায় এবং জাহাজ এত বৃহৎ যে, সাতট: বর্ষার জল সহিয়াও তাহার গতির বিরাম নাই, এই সকল ইঙ্গিত-বাক্যে লোকের মনের পূর্ব-সংস্কারের আভাষ পাওয়া যায়। বর্ণনা অতিরঞ্জিত হইলেও কবি কঙ্কনের অতিশয়োক্তি হইতে ইহ বাস্তবের অধিকতর নিকটবৰ্ত্তী। কবি কঙ্কনের যুগে পশ্চিম-বঙ্গে সমুদ্র-যাত্রার কাহিনী উপগল্পে পরিণত হইয়া গিয়াছিল। কিন্তু চট্টগ্রামের সারেঙ্গরা বহুদিন পর্য্যন্ত জাহাজ সমুদ্রের উপর বাহিয়াছে। এই সকল জাহাজের
পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/২০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।