পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান * >> রোসাঙ্গ্যার মগ তারা জানে চোরা বাণ । ঘিরে যদি, মগর হাতৎ যাইব সবার জাল ॥ ফৌজদারের সহিত সায়াদ পরামিশ্ব করি । লৈয়া বালাম’ মুকা চলে ভড়াতাড়ি ॥ লৈল ক’জন লাঠিয়াল বড় বড় বীর। মগের জলেবা’র কাছে হৈল হাজির। ‘জলেবা’র মগ্যা মাঝি বড় ভয়ানক । কিযে কাণ্ড কৈল্প তারা, শুন আচানক ॥ ঝম্প দিয়া পৈল্ল ভারা সাইগরের জলে । এক্কই ডুমে চলি আইলো বালাম মুকার তলে ৷ বালামের তলে আসি কি কাম করিল। ঢুশ দিয়া সেই না মুকা উলটাইয়া দিল ॥ লাঠিয়াল পড়ে জলে লাঠি সঙ্গে লই। কেহ ডুম মারে, কেই চিৎ হই।” অনেক কথা আমাদের কাছে দুৰ্ব্বোধ হইয়া গিয়াছে, সেগুলির অধিকাংশই জাহাজের নাম, যাহা দুই এক শতাব্দী পূর্বেও আমর চালাইতাম এবং হয়ত তাহার কোন কোনটি এখনও চট্টগ্রামের বন্দরে দুষ্প্রাপ্য নহে। বঙ্গোপসাগরের কত দ্বীপ, উপদ্বীপ বালুরচর প্রভৃতির নাম ও বর্ণনা এই গীতিকাগুলিতে আছে, তাহা তার কি বলিব ? বড়ই ভুর্ভাগ্যের বিষয় যে, আমরা পোপোকেটপেটেল ও হনলুলু দেশের বিষয় পুবই প্রাজ্ঞ হইয়া পড়িয়াছি, অথচ আমাদের বাড়ীর কাছে, বঙ্গোপসাগরের অতি সন্নিহিত স্থানগুলির নাম জানি না। এখনও চাটগায়ের মাঝিরা সে-সকল দ্বীপে আনাগোনা করে। আমরা যে ভূগোল পড়ি, তাহা সিনেমার ছবির মত, কিন্তু এইসব দেশের বাস্তব ও দুরন্তু অভিজ্ঞতা