পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান \a(t ধ্বজবজাঙ্কুশ চিহ্ন অতি মনোহর। ভুবন মোহন রূপ শু্যামল সুন্দর ৷ রামের হাতের ধনু বিচিত্র গঠন। সকল শরীরে দেখে বিষ্ণুর লক্ষণ।” কাশীরাম দাস বদ্ধমান জেলার সিঙ্গি গ্রামে বসিয়া অৰ্জ্জুন সম্বন্ধে লিখিয়াছিলেন- - “দেখ দ্বিজ, মনসিজ জিনিয়া মূরতি। পদ্ম-পত্ৰ যুগ্ম নেত্র পরশয়ে শ্রুতি। অনুপম তনু শ্যাম নীলোৎপল আভা । মুখ-রুচি কত শুচি করিয়াছে শোভা । ভুজযুগ নিন্দি নাগে আজানু-লম্বিত । করিবর জিনি দুই বাহু সুবলিত । কিবা চারু যুগ্ম-ভুরু ললাট প্রসর । কি সানন্দ গতি মন্দ মত্ত করিবর।” সুতরাং মনে হইবে—এই বিরাট বাঙ্গলা সাহিত্য এক পরিবারভূক্ত, ভাষা ও ভাবে নাফ নদীর তীর ও ভাগীরথী-কুল একই জ্ঞাতিত্বের চিহ্ন বহন করে। এই সকল কাব্য যে সৰ্ব্বদাই হিন্দু-নায়ক সম্পর্কিত, তাহ। নহে । মুসলমানী বিষয়, যথা - মোহররম, হাসান-হুসেন প্রভৃতি লইয়াও বহু কাব্য প্রণয়ন করিয়াছেন। বিদেশী ভাষায় যথেষ্ট অধিকার সত্ত্বেও কবির। বাঙ্গলা ভাষার বিশুদ্ধতা ও বিশেষ রীতিটির খেই হারান নাই। ‘বৌদ্ধরঞ্জিকা' নামক বাঙ্গলা পয়ারে লিখিত প্রাচীন বুদ্ধ-জীবনীও সেই একই ভাবে লিখিত। মোল্লা ও উৎকট ব্রাহ্মণ-পণ্ডিত উর্দু ও সংস্কৃতের আবর্জন আনিয়া বাঙ্গলা ভাষার যে দুৰ্গতি করিয়াছিলেন- হিন্দুপণ্ডিতের মধ্যে মৃত্যুঞ্জয় তর্কালঙ্কার তাহার প্রবোধচন্দ্রিকা’য় যে গদ্যের নমুনা দিয়াছেন & —