পাতা:প্রাচীন ভারতে নারী - ক্ষিতিমোহন সেন (১৯৫০).pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮০
প্রাচীন ভারতে নারী

যদি আপদ্‌গতা এবং তাঁহার পতি কিছু না বলিয়া কহিয়া, কোনো ব্যবস্থা না করিয়া, বিদেশগত হন তবে পতির খবর-বার্তা পাওয়া গেলে সেই স্ত্রী পতির জন্য সপ্তঋতুকাল প্রতীক্ষা করিবেন। আর যদি পতি বলিয়া কহিয়া গিয়া থাকেন এবং তাঁহার খবরাখবর পাওয়া যায় তবে সম্বৎসর প্রতীক্ষা করিবেন—

জীবিতার্থমাপদ্‌গতা বা ধর্মবিবাহাৎ কুমারী পরিগৃহীতারমনাখ্যায় প্রোষিতং শ্রূয়মাণং সপ্ততীর্থা্যাকাংঙ্ক্ষেত। সংবৎসরং শ্রূয়মাণম্। ঐ

বিদেশগত পতির খবরবার্তা না পাইলে পঞ্চঋতুকাল প্রতীক্ষা করিবে, খবরবার্তা পাওয়া গেলে দশঋতুকাল—

আখ্যায় প্রোষিতমশ্রূয়মাণং পঞ্চতীর্থান্যাকাঙ্ক্ষেত। দশ শ্রূয়মাণম্। ঐ

বিবাহশুল্কের যদি অংশমাত্র দিয়া পতি বিদেশে গিয়া থাকেন এবং খবর না পাওয়া যায়, তবে তিনঋতুকাল, আর খবর পাইলে সপ্তঋতুকাল প্রতীক্ষা করিবে—

একদেশদত্তশুল্কং ত্রীণিতীর্থ্যান্যশ্রূয়মাণম্।
শ্রূয়মাণং সপ্ততীর্থান্যাকাংঙ্ক্ষেত। ঐ ৩৭-৩৮

 পুরাপুরি শুল্ক দিয়া থাকিলে খবর বার্তা-না-পাওয়া বিদেশগত পতির জন্য পঞ্চঋতুকাল, খবর পাওয়া গেলে দশঋতুকাল প্রতীক্ষা করিবে—

দত্তশুল্কং প্রঞ্চতীর্থান্যশ্রূয়মাণম্। দশ শ্রূয়মাণম্॥ ঐ

 তাহার পরে ধর্মাধিকারিগণের অনুমতি লইয়া ইচ্ছানুসারে বিবাহ করিবে—

অন্ততঃ পরং ধর্মস্থৈর্বিসৃষ্টা যথেষ্টং বিন্দেত। ঐ

তথাপি ঋতুকালকে উপেক্ষা করা চলিবে না। কারণ সন্তান হওয়াই হইল সমাজ-ব্যবস্থার কাম্য। এখানে পূর্বে উক্ত ‘নাবীজী ক্ষেত্রমর্হতি’ এই চিরাগত সামাজিক সত্যটি স্মরণীয়। তাই অর্থশাস্ত্রকার বলেন, ‘তীর্থোপরোধ’ অর্থাৎ ঋতুস্নানকে উপেক্ষা করাই হইল ধর্মবধ— তীর্থোপরোধো হি ধর্মবধ ইতি কৌটিল্যঃ। ঐ পতি দীর্ঘকাল বিদেশগত, প্রব্রজিত বা মৃত হইলে ভার্যা সপ্তঋতুকাল প্রতীক্ষা করিবে। পুত্রবতী ভার্যা সম্বৎসর প্রতীক্ষা করিবে। তাহার পর পতির সহোদরকে বিবাহ করিবে। পতির যদি বহু ভ্রাতা থাকে তবে যে প্রত্যাসন্ন