পাতা:প্রাচীন মুদ্রা প্রথম ভাগ.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R প্রাচীন মুদ্র । নিৰ্ম্মাতাকে স্বনিৰ্ম্মিত তৈজস প্রদান করিয়া আশ্রয় নিৰ্ম্মাণ করাইয়া লইত । বিনিময়ের সুবিধার জন্ত ক্রমে মানবসমাজে মুদ্রার প্রচলন হুইয়াছিল । তৈজসনিৰ্ম্মাতার যখন খাদ্য দ্রব্যের আবগুক নাই তখন কৃষক যদি শস্তের পরিবর্তে তৈজস ক্রয় করিতে আসিত তাঙ্গ হইলে তখন সে তৈজসের পরিবর্তে শস্ত গ্রহণ করা অসুবিধা মনে করিত । এই অভাব দূর করিবার জন্ত জগতের সধ্বত্র মানবগণ বিনিময়ের স্থায়ী উপকরণ উদ্ভাবন করিয়াছিলেন । এই সব উদ্ভাবিত বিনিময়ের উপকরণের নামই মুদ্রা । জগতের সর্বত্র ভিন্ন ভিন্ন ধাতু প্রথমে বিনিময়ের উপকরণস্বরূপ ব্যবহৃত হইত। সুবর্ণ, রজত, তাম প্রভৃতি ধাতু অতি প্রাচীনকাল হইতে বিনিময়ের স্থায়ী উপকরণ রূপে ব্যবহৃত চয়ু আসিতেছে । স্থানে স্থানে লৌহ, সীসক, পিস্তল, এমন কি টিন পর্যন্ত বিনিময়ের উপকরণস্বরূপ ব্যবহৃত হতে দেখা গিয়াছে । গ্ৰীসদেশের স্পার্টানগবের অধিবাসিগণ লৌহ নিৰ্ম্মিত মুদ্র ব্যবহার করতেন। খৃষ্টায় অষ্টাদশ এবং উনবিংশ শতাব্দী পর্যান্ত মলয় উপদ্বীপে টিনের মুদ্র ব্যবঙ্গ ত শ্লষ্টত এবং প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে দক্ষিণাপথের অন্ধ রাজগণ সীসক হইতে মুদ্র নিন্মাণ করিতেন । বৰ্ত্তমান সময়ে ও চীনদেশে পিস্তল নিৰ্ম্মিত মুদ্র ব্যবহৃত হইয়া থাকে । বিনিময়ের উপকরণ স্বরূপ মানবসমাজে যখন সৰ্ব্বপ্রথমে ধাতুর ব্যবহার আরম্ভ হয়, তখন চূণ gold dust) অথবা নিয়মবদ্ধ আকার যাহাতে নাই (irregular mass) এইরূপ ধাতুপিণ্ড ব্যবহৃত তইত । খৃষ্টীয় উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে ও হিমালয়ের উপত্যক প্রদেশে ওজনকরা সুবর্ণ রক্তবস্ত্রের থলিয়ায় আবদ্ধ করিয়া মুদ্রার পরিবর্তে ব্যবহৃত হইত। উক্ত শতাব্দীতে অষ্ট্রেলিয়ায় এবং আমেরিকার ক্লোন্‌ডাইক দেশে সুবর্ণ আবিষ্কৃত হইলে সৰ্ব্বপ্রথমে সুবর্ণকারগণ ( যাহার খনি হইতে সুবর্ণ খনন করিত এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় উহা পরিশুদ্ধ করিত ) মুদ্রার পরিবর্তে মুবর্ণ