পাতা:প্রায়শ্চিত্ত ১৯২০ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ অস্তঃপুর সুরমা ও বিভা স্বরম। বিভা, ভাই বিভা, তোর চোখে যদি জল দেখতুম তা হলে আমার মনটা ষে খোলসা হত । তোর হয়ে যে আমার কাদতে ইচ্ছা করে ভাই, সব কথাই কি এমনি করে চেপে রাখতে হয় ! বিভা। কোনো কথাই তো চাপা রইল না বউরানী। ভগবান তে৷ লজ্জা রাখলেন না ! স্বরম। আমি কেবল এই কথাই ভাবি যে, জগতে সব দাহই জুড়িয়ে যায়। আজকের মতে এমন কপাল-পোড়া সকাল তো রোজ আসবে না ; সংসার লজ্জা দিতেও যেমন লজ্জা মিটিয়ে দিতেও তেমনি। সব ভাঙাচোরা জুড়ে আবার দেখতে দেখতে ঠিক হয়ে যায়। বিভা। ঠিক নাও যদি হয়ে যায় তাতেই বা কী। যেটা হয় সেটা তো সইতেই হয়। স্বরম। শুনেছিল তো বিভা, মাধবপুর থেকে ধনঞ্জয় বৈরাগী এসেছেন। তার তো খুব নাম শুনেছি, বড়ো ইচ্ছা করে তার গান শুনি । গান শুনবি বিভা ? ওই দেখ, - কেবল অতটুকু মাথা নাড়লে হবে না। লোক দিয়ে বলে পাঠিয়েছি, আজ যেন একবার মন্দিরে গান গাইতে আসেন, তা হলে আমরা উপরের ঘর থেকে শুনতে পাব । ও কী, পালাচ্ছিস কোথায় ] বিভা। দাদা আসছেন । স্বরম। তা, এলই বা দাদা । বিভা ৷ না, আমি যাই বউরানী। [ প্রস্থান স্বরম। আজ ওর দাদার কাছেও মুখ দেখাতে পারছে না।