পাতা:প্রিয়বালা.pdf/১৩

প্রিয়বালা। ব্রাহ্মণদম্পতির ক্ষুদ্র কুটীরে এইরূপ আনন্দস্রোত বহিতেছে, ইত্যবসরে প্রকৃতির নৈশ নিন্তব্ধতা ভঙ্গ করিয়া অদূরে শঙ্খধ্বনি সমুখিত হইল। তখন রাত্রি এক প্রহর উত্তীর্ণ হইয়াছে, ক্ষুদ্র পল্লীতে প্রায় সকলেই আহারাদি করিল্প নিদ্রা যাইবার উপক্রম করিতেছে। বাহিরে মন্দ মন্দ সুশীতল সমীরণ নানাবিধ পুপপৌরভে আমোদিত হইয়া কখন তালবৃক্ষের, কখন আমবৃক্ষের, কখনও বা কোন অ্যুচ্চ নারিকেল বৃক্ষের পত্র সকল আদেলিত করিতেছে। " কিংক্ষণ পরে আবার শঙ্খ বাজিয়া উঠিল। নীড়ম্ব সুপ্ত পক্ষিগণের কর্ণে সে শব্দ প্রবেশ করি । তাহারা দেই শঙ্খধ্বনি শ্রবণ করিয়া, বিপদাশঙ্কায় কলরব করিয়া উঠিল। দুগ্ধপোষা বালকের মাতার নিকট শয়ন করিয়া মানাগ্রকার উৎপাত করিতেছিল, সেই ধ্বনি তাহদের কর্ণে প্রবেশ করাতে তাহারা মাতার নিকট আদি গ্রেগড়ে মুখ লুকাইল। ক্রমে উপৰ্য্যুপরি শখ মনি চারিদিক প্রতিধ্বনিত করতঃ গল্পীর সকলকেই বাস্ত করিয়া তুলিল । ত্ৰাসী মনে মনে দন্ত কি ভাবিতেছিলেন । পুত্রের বেতন বুদ্ধি হইল। এই1ার তাহার বিবাহ দিয়া—বধু লইয়া মুখে ংসারযাত্র। নিৰ্ব্বাহ করবেন। আর র্ত{হাকে অধিক পরিশ্রম করিয়া দিনযাপন করিতে হইবে না। সহমা শঙ্খধ্বনি উহারও কর্ণে প্রবেশ করিল। মঙ্গলা দাসী নাড়ু খাইতেছিল, আর এক একবার ব্রাহ্মণীর মুখগতি করিতেছিল। ব্রাহ্মণী সে কথায় ಕ್ পাতও করিতেছিলেন না, স্ট্রেপল অন্ত মনস্কে এক একবার “হু" দিয়া যাইতেছেন। শঙ্খধ্বনি শুনিয়া তাহার চমক ভাঙ্গিল। তিনি মঙ্গলাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, "মঙ্গলা! এত স্থাত্রে শাঞ্চ বাজে কোথায় ।”