পাতা:প্রিয়বালা.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ প্রিয়বাল । কিযুৎক্ষণ পরে আবার শুষ্ক পত্রের মৰ্ম্মর শব্দ শ্রীতিগোচর হইল। কিন্তু তাহার কারণ কিছুই অনুমিত হইল না। বায়ু সঞ্চালন এবার কারণ নহে। কেন না, তাহা হইলে বৃক্ষপত্র সকল পুৰ্ব্বেই আন্দোলিত হইত। বোধ হয়, কোন নিশাচর জন্তু নিশাবসান জানিতে পারিয়া স্বস্থানে প্রত্যাবর্তন করিতেছে ! আবার সেই শব! সঙ্গে সঙ্গে অস্পষ্ট মনুষ্যস্বরও কর্ণগোচর হইল। ক্ষণকাল পরে একজন যেন একটু স্পষ্টরূপে বলিন্তে লাগিলেন, “কোন সন্দেহ ক'রে না সেজ মা! তুমি তখন দেখে, নফরের মা কেমন মানুষ। যার মুন খাব, প্রাণ দিয়েও তার উপকার করবো।” #ণ্ঠস্বরে তাহাকে নীরদ বাবুর দাদ মোক্ষদা বঞ্চি জান গেল। মোক্ষদা তার নাম বটে, কিন্তু নফরের মা খনিই ইহলোকে পরিচিত ; সুতরাং আমরাও তাহাকে ঐ নামে ডাকিব । , নফরের মার কথা শেষ হইলে অপরের কণ্ঠস্বর বলিল, “আ;ি কি বলছি, তোর উপর অবিশ্বাস আছে ? না, তোর গুণ আমি জানি না ; তাই যদি হবে, তবে এত লোক থাকৃতে তোকেই বা এ কাজ কোৰ্বতে বলবো কেন ?" পরে অপেক্ষাকৃত মৃদুস্বরে বলিল, “কিন্তু দেখ্রিস্ যেন কোন কষ্ট না হয়।” ক্রমে পুৰ্ব্বদিক পরিষ্কার হইল। উষার অলোকে বসুন্ধর নবশোভা ধারণ করল। বিহঙ্গমকুল অস্পষ্ট কলধ্বনি করিতে করিতে কুমায় পরিত্যাগ করিতে লাগিল । কুলবধুগণ স্ব স্ব শয়নগৃহ পরিত্যাগ করিয়া গৃহকৰ্ম্মে মনঃসংযোগ করিল। প্রবোধ বাবুর আজি বড়ই আনন্দের দিন। কাল রাত্রে একটা পুত্র সন্তান হইয়াছে! এবার যদি ভগবান এটাকে দীর্ঘজীবী করেন, তাহা হইলেও কতকটা মুখ।" অতুল ঐশ্বর্ষের অধিপতি হইয়াও