পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি め> পরিত্রিক সকল সুখ-সাধনে জলাঞ্জলি দিয়া নিষ্কাম ভাব ও পরমপ্রেমময় স্বভাবের অনুসরণ করেন, তাহাদিগের সেই ভক্তিকে তদ্ভাবেচ্ছাময়ী কহে ; ইহা ব্ৰজবাসী শ্রীরাধিকাদি গোপীগণে নিত্য বিরাজমান রহিয়াছে। অতএব মহষীদিগের ভাব হইতে সাধারণী কিম্বা সমঞ্জস রতি উৎপন্ন হয় এবং গোপীদিগের ভাব হইতে সমর্থ রতি উদয় হয়, কেন না , - অাত্মেন্দ্রিয় প্রীতি ইচ্ছ। তারে বলি কাম । কৃষ্ণেন্দ্রিয় প্রীতি ইচ্ছা ধরে প্রেম নাম ॥ কামের তাৎপৰ্য্য নিজ স্তাগ কেবল । কৃষ্ণসুখ-তাৎপৰ্য্য মাত্র প্ৰেমত প্রবল ॥ —ঐচৈতন্যচরিতামৃত । আত্মেন্দ্রিয়ের পরিতৃপ্তির জন্য যে কাৰ্য্য করা যায়, তাহাকে কাম বলে, আর ঈশ্বরেন্দ্রিয়ের প্রতির জন্ত যাহ করা যায়, তাহাকে প্রেম বলে। সমস্ত কাৰ্য্য নিজ সম্ভোগ স্বরূপে প্রয়োগ না করিয়া কৃষ্ণু-মুখ-তাৎপর্য্যে প্রয়োগ করিলে, তাহা হইতে সমর্থীরতির উদয় হইয়া থাকে ; পরে তাহাই গাঢ় হইয়া প্রেম আখ্যা প্রাপ্ত হয় । কিন্তু মহিষীদিগের কথঞ্চিৎ স্বস্বর্থ-বাঞ্ছা থাকায় তাহা আর সমর্থ রতিতে পর্য্যবসিত হইতে পারে না । বিশেষতঃ স্বামী-স্ত্রীর সম্বন্ধে একটু উচ্চ নীচতা আছে, লোক-ধৰ্ম্মাপেক্ষ আছে এবং তাছা স্বাভাবিক বিধায় তেমন উদাম উচ্ছসি নাই, কিন্তু গোপীদিগের ভাব ইহার সম্পূর্ণ বিপরীত। তাহারা স্বামী-পুত্র, ঘর-বাড়ী, জাতি-কুল, বেদবিধি, ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম, লজ্জা-সরম পরিত্যাগ করিয়া কুলটার ন্যায় ভগবানে আসক্ত হইয়া থাকেন। . কুলটা রমণী যথাযথভাবে গৃহকৰ্ম্মাদ্ধি করে, কিন্তু তাহার মনটা সৰ্ব্বদা উপপতির চিস্তায় নিমগ্ন থাকে। প্রেমভক্তি-প্রচারক চৈতন্তদেব বলিয়াছেন ;–