পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাধাকৃষ্ণ ও অচিন্ত্য ভেদাভেদতত্ত্ব ہے-ص, গোপীভাবে যে ঈশ্বরাতুসরণ, তাহার নাম রাগমার্গ। সন্ধ্যা-আহ্নিক, রাজ-নেমাজ, প্রার্থনা-উপাসনা প্রভৃতি বিহিতাবিহিত কৰ্ম্ম, জাতিকুললোকধৰ্ম্ম, সুখ-দুঃখ, মান-অভিমান, আচার-নিয়ম, বিধি-নিষেধ ইত্যাদি সমস্ত বৈধমার্গের অনুষ্ঠান কীৰ্ত্তিনাশার জলে বিসর্জনপূর্বক কেবল প্রাণের অম্বুরাগে আনন্দের রসে মত্ত হইয়া, আকুল আকর্ষণে আকৃষ্ট ভূইয়া যে ঈশ্বরোপাসনা করা যায়, তাহাকেই রাগমার্গ বলে । এই রাগমার্গের সাধনা প্ৰবৰ্ত্তনাৰ্থ ব্রজলীলা । ব্রজ গোপীগণ এই রাগমার্গের সাধিক। এই রাগমার্গের সাধনা প্রচার করিতেই দ্বাপরের অবতার। যখন যে ধৰ্ম্মের সংস্থাপন প্রয়োজন, তখনই তাহার পূর্ণ আদর্শের প্রয়োজন, —আদর্শ ভিন্ন মানব শিক্ষালাভ করিতে পারেন, তাই ভগবান যোগমায়াবলম্বনে শরীরা হইয়া-ইচ্ছাদেহ ধারণ করিয়া কৃষ্ণরূপে ব্রজধামে লীলা করিয়াছিলেন । সেই ব্রজলীলার প্রধান সাহায্যকারিণী—রাধ । আমরা ভক্তিতত্ত্বে দেখাইয়াছি যে, ভগবানের যে শক্তি জীবকে সৰ্ব্বদা অনন্ত উন্নতির পথে–পূর্ণ মঙ্গল ও আনন্দের পথে আকর্ষণ করেন, তাহাই কৃষ্ণ । আর যদ্বারা আমরা তাহার দিকে—অনন্ত আনদের দিকে আকৃষ্ট হই, তাহাই ভক্তি। ভক্তি যখন গুণাবরণে আবৃত থাকে, তখন তাহার স্বরূপ উপলব্ধি হয় না । কিন্তু আবরণ উন্মুক্ত হইলেই মেঘান্তরিত স্বৰ্য্যের স্থায় স্ব-স্বরূপে প্রকাশিত হইয়া প্রেম আখ্যা প্রাপ্ত হয়। এই প্রেম সচ্চিদানন্দ ভগবানের হলাদিনী শক্তির বিকাশ মাত্র । ভগবানের তিনটা শক্তি। যথা :–