পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So 8 প্রেমিক-গুরু

      • ^^^ళాలగ్క్కుrv=్క

অবতীর্ণ হইয়াছিলেন । সুতরাং গোপীভাব সাধনায় রাধাই প্রধান আদর্শ। বৃন্দাবন প্রাকৃতজগতে অপ্রাকৃত ভূমি। সেখানে সখ্যাদি প্রেমসাধ্য ভাবগুলি মূৰ্ত্তিমান হইয়া বিরাজ করিতেছে। ব্রজলীলায় কিরূপ ভাবে এই ভাবগুলির স্ফূরণ হইয়াছিল, হিন্দুমাত্রেই তাহা অবগত আছেন। সুতরাং সকল ভাবের চিত্র অঙ্কিত করিয়া সময় নষ্ট করিতে চাই আমরা রসিক শিরোমণি চণ্ডীদাসের পদাবলী হইতে রাধার প্রেমবিলাস সংক্ষেপে চিত্রিত করিতেছি বিপ্রলন্তে অধিরূঢ় ভাব বশতঃ সন্তোগস্মৃত্ত্বি প্রভৃতি প্রেমবিলাসই বিবৰ্ত্তবাদ । এই বিবৰ্ত্তবিলাসে প্রেমিকার অভিসার, বাসকসজ্জা, উৎকষ্ঠিতা, খণ্ডিত, বিপ্ৰলন্ধা, কলহান্তরিতা, প্রোষিতভৰ্ত্তক ও স্বাধীনভত্ত্বক এই আট প্রকার অবস্থা হয়। রাধাপ্রেমে এই সকল প্রকার অবস্থারই পূর্ণরূপ বিকাশ হইয়াছিল। শ্ৰীমতী রাধা যখন কুলবধুরূপে আয়ানগৃহে বাস করিতেছিলেন – ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম, সাধন-ভজনের বিন্দুমাত্র ধার ধারেন না, এমন কি খ্ৰীকৃষ্ণকে পৰ্য্যস্ত দেখেন নাই,--এমন সময়ে সর্থীমুখে শ্রীকৃষ্ণের কথা শুনিয়া রাধারহৃদয় উথলিয়া উঠিল, তিনি মৃণালভুজে সর্থীর গলদেশ বেষ্টন করিয়া বলিলেন,— সই ! কেবা শুনাইল শু্যাম নাম । কাণের ভিতর দিয়া মরমে পশিল গো, আকুল করিল মোর প্রাণ । কখনও কৃষ্ণের নাম শুনেন নাই, কখনও কৃষ্ণের রূপ দেখেন নাই, কেবল সখীর মুখে কৃষ্ণের নাম শুনিয়া এইরূপ ভাবোন্দ্রেক হইয়াছিল। “নাম পরতাপে যার ঐছন করিল গো, অঙ্গের পরশে কিবা হয় ।” নাম শুনিয়া অঙ্গস্পর্শমুখের জন্ত ব্যাকুল হইয়া উঠিলেন । ইহাই রাগামুগাভক্তির প্রধান লক্ষণ । তৎপরে সখিগণের সঙ্গে যমুনায় জল