পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেমিক-গুরু ونا له لا সখীরে কহিছে, ধনী ; বাহির হইয়া দেখলো সজনী, বঁধুর শবদ শুনি । পুন কহে রাই না আসল বঁধু মরমে রহিল ব্যথা, 扩 তাম্বুলের রাগ মুছি কর দুর 會 নয়ন কাজল রেখা । সারাটি রজনী কৃষ্ণের জন্য রাধা জাগিয়া ছিলেন – ছিলেন কিন্তু নিজের অস্তিত্ব ভুলিয়া সমস্ত বৃত্তি প্রণয়ভাজনে সমাশ্রিত, বাতাজ্ঞান বিরচিত। প্রেমের বাণে জ্ঞানের বালুক এইরূপে ভাসাইয়া লইয়া গিয়া থাকে । সমস্ত বৃত্তিগুলিকে একমুখী করিয়া প্রেমিকা বঁধুর আসিবার পথপানে চাহিয়াছিলেন, –কিন্তু আসিবার সময় উত্তীর্ণ হইয়া গেল,---রাত্রি প্রভাত হষ্টল। তবে ত আর আসিবে না, বুঝি তাহীর আসা হইল না । কিন্তু মন বুঝে কৈ ? প্রতি পত্রবিকম্পনে তাহার পদশব্দ বলিয়া জ্ঞান হইতেছে,—তাই সর্থীকে অনুরোধ করিতেছেন—সখি ! বাহির হইয়া দেখ, বোধ হয় বধু আসিতেছে। ঐ বোধ হয়, বঁধুর পায়ের শব্দ শুনা যাইতেছে। কিন্তু মুহূৰ্বে আশা নিরাশায় পরিণত হইল। হতাশের দীর্ঘশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া বলিলেন,—ন না, সে আসিল না । আসিবার তার অবসর হয় নাই, আসিতে তাহার মন সরে নাই । কিন্তু তাহার সুখের জন্য —তাহার উপভোগের জন্যই ত আমার সাজা গোছ ; যদি সেই না আসিল, তবে এ সকল কেন ? অতএব এ সকল ধুইয়া মুছিয়া দূর করিয়া দেও। অচিরে রাধার গুপ্ত প্রণয়কাহিনী সৰ্ব্বত্র প্রকাশ হইয়া পড়িল । স্বামী, শ্বাশুড়ী, ননন্দ প্রভৃতি রাধাকে নানারূপে যন্ত্রণা দিতে লাগিলেন।