পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি ృe রাধীর “কলঙ্কিনী” নাম পড়িয়া গেল । পাড়ার পরিহাসরসিক রমণীগণ নানারূপ শ্লেষবাক্যে মৰ্ম্মপীড়িত করিতে লাগিল । রাধা শু্যামপ্রেমে বিভোর হইয়া সমস্তই অক্লেশে সহ্য করিতে লাগিলেন। কিন্তু শু্যামের নিন্দ শুনিলে অধীর হইয়া পড়িতেন । কেহ শু্যামের কাল রং বাকা শরীর বা শঠ-কপটতার উল্লেখ করিয়া তাহার সহিত প্রেমের অযোগ্যতা প্রমাণিত করিলে, রাধা তাহাদিগকে তাহার চক্ষুদ্বারা শুামরূপ দেখিবার জন্ত অনুরোধ করিতেন। অত্যাচার, উৎপীড়ন, নিন্দা, কলঙ্ক এ সকল কিছুতেই রাধার অনুরাগ হ্রাস হইল না,-বিনাশের কারণ থাকিয়াও প্রেম বিনষ্ট হইল না ; বরং দিন দিন অনুরাগ বৃদ্ধি হইতে লাগিল। ক্রমশঃ রাধার জগন্ময় কৃষ্ণমূৰ্ত্তির ফুৰ্বি হইতে লাগিল। তিনি মেঘ দেখিলে, তমাল গাছ দেখিলে কৃষ্ণকে মনে করিম্ব ব্যাকুল হইয়া পড়িতেন । বুফ ফাটিয়া কান্না বাহির হইত, তাই গুরুজনের ভয়ে ভিজা কাঠ চুলায় দিয়া ধূমের ছলে ক্ৰন্দন করিতেন। পরে লজ্জা, ভয়াদিও দূরীভূত হইল। এই সময় রাধিকার আর কোন চিন্তা, অল্প কিছুতে মুখ, বা অন্ত কোন বস্তুর আকর্ষণ রহিল না । রাধার কি হলো অন্তর ব্যথা । বসিয়া বিরলে থাকয়ে একলে না শুনে কাহারো কথা ॥ সদাই ধেয়ানে চাহে মেঘ পানে না চলে নয়নের তারা । বিরতি আহারে রাঙা বাস পরে যেমন যোগিনী পারা ॥ এলাইয়া বেণী ফুলের গাথনি দেখয়ে থসয়ে চলি ।