পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেমিক-গুরু ילמכי তাই গোপীভাবের সাধনায় শৃঙ্গাররসকে মধ্যগতকরতঃ প্রেমিক-প্রেমিক উভয়ের চিত্ত দ্রবীভূত হইয়া সম্ভোগ-মিলন সংঘটিত হয়, তাহাতে সমস্ত প্রকার ভেদ-ভ্রম দূরীভূত হইয়া যায় ; তাহাতেই কখনও শ্ৰীকৃষ্ণ, রাধার ভাবে বিভোর হইয়া রাধা-প্রকৃতি অবলম্বন ও রাধার স্বরূপ আচরণ করেন, কখনও বা রাধিকা, শ্ৰীকৃষ্ণের স্বরূপাচরণ করিয়া লীলানন্দ-মুখ অনুভব করিয়া থাকেন। ইহারই নাম বিবৰ্ত্তবিলাস । ভক্তাবতার গৌরাঙ্গদেবে এইভাব সম্যক্ প্রকাশিত হইয়াছিল। রাধা-কৃষ্ণলীলায় জীব প্রেমভক্তির আদর্শ পাইল বটে, কিন্তু কিরূপ সাধনায় তাহা লাভ হইবে, তাহা জানিতে পারিল না । সুতরাং তাহাদের প্রেম-রসের পিপাসা মিটিল না। জয়দেব, চণ্ডীদাস প্রভৃতি ছ'চারিজন ভক্ত ভগবৎ-কৃপায় প্রেমের সাধনায় সিদ্ধিলাভ করিলেও, সাধারণ জীব সে গৃঢ় উপায় জানিল না। কাজেই সাধনার আদর্শ-জন্ত ভগবানকে আবার অবতীর্ণ হইতে হইল। পূর্ণ ভগবান ব্যতীত অপূর্ণ জীবকে কে আর সে শিক্ষণ দিবে ? তাই শ্ৰীকৃষ্ণ বলিয়াছেন,— যদ্যদাচরতি শ্রেষ্ঠস্তত্তদেবেতরো জনঃ। স যৎ প্রমাণং কুরুতে লোকস্তদনুবর্ততে ॥ —শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা, ৩২১ সমাজের শ্রেষ্ঠ লোক যেরূপ আচরণ করিয়া থাকে, সাধারণ লোকও তাহার অনুসরণ করে। তাই ভগবানের কোনও কৰ্ম্ম না থাকিলেও *আপনি আচরি ধৰ্ম্ম জীবেরে শিখায়”—মনুষ্যদেহ ধারণ করিয়া নিজে কৰ্ম্মআচরণের দ্বারা জীবশিক্ষা দিয়া থাকেন। রাধাকৃষ্ণের আদর্শে প্রেমভক্তি লাভের জন্ত যখন জীবগণ ব্যাকুল হইয়া উঠিল, তখন দয়ার সাগর ভগবান রাধাভাবে অর্থাৎ হলাদিনীশক্তিতে অনুপ্রাণিত হইয়া শ্ৰীগৌরাঙ্গরূপে