পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসতত্ত্ব ও সাধ্য-সাধন রাধাকৃষ্ণই রসতত্ত্ব,—সুতরাং জীবের ইহাই সাধ্য ; যে সাধনাবলম্বন করিয়া রাধাকৃষ্ণের রস-রতি জ্ঞান হয়, তাহাই সাধ্য-সাধন । রসের পিপাসা জীবের প্রাণে প্রাণে । কেবল জীব কেন,- কুমুম ফুটিয়া রূপে-রসে ফাটিতে থাকে ; বৃক্ষের নবীন শু্যাম-পত্র-কুঞ্জে রূপ আর রস। পৃথিবীময় রূপ আর রসের বিচিত্র্যলীলা । স্বর্গ, মর্ত্য এই রূপ আর রসের অচ্ছেদ্য বন্ধনে বাধা । কোকিলের মুর এই রূপ আর রসের পঞ্চম, শিশির রূপ-রসের অশ্রু, মলয়ানিল সেই রূপ-রসের স্নিগ্ধশ্বাস, নৈশগগনে দিগন্তব্যাপী সঙ্গীতময় মাধুৰ্য্য – সেই রূপ আর রসের জীবন্ত মর্ত্যলীলা । রূপ শক্তিক্রীড়া-রসের মুখের নামান্তর। কাজেই তত্ত্ববিদের বিশ্লেষণ—ধাৰ্ম্মিকের প্রাণের অনুসন্ধান ঐ শক্তি আর রসের দিকে । কেননা, ব্ৰহ্মই রসস্বরূপ। যথা – রসে৷ বৈ সঃ। --শ্রীতি । রস তিনি। তিনি কে ?-- ঋষিরা বলেন,-“ধতো বাচো নিবৰ্ত্তস্তে অপ্রাপ্য মনসা সহ ।” যিনি বাক্য ও মনের অগোচর, তিনি ব্ৰহ্ম ; ব্ৰহ্মই আনন্দামৃতরূপ রস। এই রস আস্বাদনার্থই ভগবানের স্বষ্টিকার্য্য ;–জীব সেই বাসনাবিদগ্ধ হইয়া, রসের পিপাস্থ হইয়া,—ঘুরিয়া মরিতেছে। গোপীভাবের সাধনায় সেই রস-রতি জ্ঞান হয়, - হৃদয়ে তাহার প্রকাশ পায়। ভগবানের ষে রসপ্রাপ্তি কামনা, সেই রস পূর্ণভাবে রাধায় বিরাজিত ;–