পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি ১২৩ সুতরাং রসের বিকাশ রাধাতত্ত্বে। রাধার সহিত শ্ৰীকৃষ্ণের ষে ব্রজলীলা তাহাই রসের আশ্রয় বা রস-সাধন । রাধা আর কৃষ্ণ একই আত্মা ; জীবকে রসতত্ত্ব আস্বাদন করাইতে ব্রজধামে উভয় দেহ ধারণ করিয়াছিলেন । সেই রাধাকৃষ্ণ আত্মস্বরূপে অর্থাৎ আত্মারূপে প্রতি জীবহৃদয়ে অধিষ্ঠিত আছেন। তাই জীব সেই আনন্দ বা মুখের অন্বেষণে জলভ্রান্ত মৃগের মরীচিকায় ছুটিয়া যাওয়ার দ্যায় –এই সংসার-মরু-ভূখণ্ডে এত ব্যর্থ ছুটাছুটি করিয়া থাকে। কিন্তু অপূর্ণ জগতে পূর্ণ মুখের আশা করা বিড়ম্বন । মায়া-মুগ্ধ জীব জানিতে পারে না যে, পূর্ণানন্দ—পূর্ণ মুথ যে তাহার আত্মায় অবস্থিত। মুগ যেরূপ আপন নাভিস্থিত কস্তুরীর গন্ধে উন্তু,াস্ত হইয়া বনমধ্যে ব্যাকুল ভাবে ছুটির বেড়ায়, তদ্রুপ জীবও আনন্দের অনুভূতিতে পার্থিব বিষয়ে প্রধাবিত হইয়া বেড়াইতেছে । জন্মজন্মাস্তরের সুকৃতি বশতঃ এবং সাধুশাস্ত্রের কৃপায় জীব যখন জানিতে পারে যে, তাহার চির আকাঙ্গিক্ষত পদার্থ তাহার আত্মাতেই অবস্থিত, তখন বিষয় বৈরাগ্য উপস্থিত হয়,--- সে তখন আত্মামু সন্ধানে নিযুক্ত হয়। অনস্তর আত্মসাক্ষাৎকার লাভ করিয়া, আত্মায় রাধাকৃষ্ণতত্ত্বের বিকাশ করিতে পারিলেই পূর্ণরস ও আনন্দের অধিকারী হওয়া যায়। তাহা সাধন সাপেক্ষ । জগতে অতি সামান্ত একটী তত্ত্বের অনুসন্ধান করিতে জীবনব্যাপী অধ্যবসায়ের প্রয়োজন । কিন্তু ভারতের স্থবৰ্ণযুগে দেবকল্প ঋষিগণ যোগের সুমহান পৰ্ব্বতশৃঙ্গে অধিরোহণ পূৰ্ব্বক জ্ঞানের দীপ্ত-বহ্লি প্রজালিত করিয়া লইয়া যে সন্ধান করিয়াছিলেন, র্তাহীদের কথিত শাস্ত্রের আশ্রয়ে আমরা এখনও সে তত্ত্বের অনুসন্ধান প্রাপ্ত হই । কিন্তু তাহাতেও কিঞ্চিৎ সাধনা-সাপেক্ষ,—সেই সাধনা কি প্রকারে করিতে হয়, কি প্রকারে শক্তিমানের শক্তিকে সহজে আয়ত্ত করা যায়,কি প্রকারে প্রকৃতির বাসনা-বাহুর বন্ধন হইতে মুক্তি পাওয়া যায়,—