পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি, Sశి(t

            • u:

প্রকারে জানিবে ? তাই জগতের ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ে পরস্পর বিদ্বেষ-কোলাহল । নতুবা প্রকৃত সাধুর নিকট কোন হিংসা-দ্বেষ নাই ; তাহারা জানেন, যে কোন মতের চরমসাধনায় সকলে একই লক্ষ্যে উপস্থিত হইবে । সুতরাং বৈয়াকরণিক অর্থানুসারে শাক্ত বা বৈষ্ণব, শক্তি-উপাসক বা বিষ্ণু-উপাসক হইতে পারে, কিন্তু প্রকৃত মৰ্ম্ম তাহী নহে ; উহা ধৰ্ম্মের সাধনা-পথেরই স্তরবিভাগ মাত্র । জীব যতদিন মায়ার অধীন থাকে,—রুপ, রস, গন্ধ, শব্দ স্পর্শে মোহিত হয়,—বাসনা-কামনার দাস হইয়া থাকে, ততদিন সে বদ্ধ । সেই বদ্ধজীব সাধুশাস্ত্রের রূপায় উদ্বুদ্ধ হইয়া যখন প্রকৃতির বাহুমুক্ত হইবার জষ্ঠ সাধন করে, তখন সে শাক্ত ; আর যখন মায়ামুক্ত হইয়া আত্মার অসমোদ্ধ প্রেম-রস-মাধুৰ্য্য আস্বাদন করে, তখন সে বৈষ্ণব । অতএব সাধক, শক্তি বা বিষ্ণুর,—যাহারই উপাসক হউন না কেন, সাধনার স্তরভেদে শক্ত-বৈষ্ণব নামে অভিহিত হইবে । এইরূপ যে মন্ত্রেই উপাসনা করা হউক না কেন, জীব যে কোন সম্প্রদায়ভুক্ত হউক না কেন, সাধনার স্তর ভেদে—শাক্তাদি নামে অভিহিত হয়। শিবের দৃষ্টাস্তে আমরা এই বিষয়টা পরিস্ফুট করিতে চেষ্টা করিব। শিব যখন দক্ষিণয়ণীকে বিবাহ করিয়া সংসার করিতেছিলেন, তথন তিনি বদ্ধ জীব মাত্র। তৎপরে যখন দক্ষযজ্ঞ উপস্থিত হইল, শিব সতীকে বিনা নিমন্ত্রণে পিত্রালয়ে যাইতে নিষেধ করিলেন ; কিন্তু সতী, শিববাক্য গ্রাহ না করিয়া দক্ষালয়ে গিয়া প্রাণত্যাগ করিলেন। তখন শিব বুঝিলেন, – প্রকৃতি' ত তাহার বশীভূত নহেন, কৰ্ত্তব্য উপস্থিত হইলে তিনি সকল সম্বন্ধ ছিন্ন করিতে পারেন । তখন তিনি শক্তিকে প্রকৃত চিনিতে পারিলেন—শক্তি-জ্ঞান হইল,-অমনি তিনি মহাযোগে বসিলেন । শিব শাক্ত হইলেন। এদিকে দাক্ষায়ণী হিমালয়ের গৃহে গৌরীরূপে জন্মগ্রহণ করিয়া শিবকে পতিরূপে পাইবার জন্য র্তাহার সেবা করিতে লাগিলেন ।