পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>。 প্রেমিক-গুরু শিৰ ক্ৰক্ষেপও করিলেন না । যিনি একদিন যে সতীর মৃত দেহ স্বন্ধে করিয়া ত্রিলোক ভ্রমণ করিয়াছিলেন ; তিনি আজ সেই সতীকে – সেই হারাধনকে পুনঃ প্রাপ্ত হইয়াও র্তাহার দিকে দৃকপাত করিলেন না । তখন গৌরী দেবগণের সাহায্যে মদনদ্বারা শিবের ধ্যানভঙ্গের চেষ্টা করিলেন ; কিন্তু শিবের কটাক্ষে মদন মুহূর্তে-ভস্ম হইয়া গেল। শিব তখন শক্তিকে পত্নীরূপে দাসীর দ্যায় গ্রহণ করিয়া, ব্রহ্মরসানন্দে নিমগ্ন হইয়া গেলেন । এতদিনে শিব বৈষ্ণব হইলেন। তাই মহাদেব পরম বৈষ্ণব বলিয়া কীৰ্ত্তিত। শাক্ত মায়াকে বশীভূত করিবার সাধন করিতেছেন ; আর বৈষ্ণব শক্তিজয় করিয়াছেন, বৈষ্ণবের নিকট প্রকৃতি মায়াজাল বিস্তার করেন না, বরং লজ্জাবনতমুখী হইয়া পলায়ন করেন । শাক্ত যখন মায়াকে সাধনার দ্বারা বশীভূত করেন, কিম্বা তাহার কৃপালাভ করেন, কামকে ভস্মীভূত করেন, তখন বৈষ্ণব-পদবাচ্য হন । এই কারণে রামপ্রসাদ, রামকৃষ্ণ শক্তিসাধক হইলেও ইহার পরম বৈষ্ণব। আর যে সকল বিষ্ণু-উপাসক বিষয়-বিষ-বিদগ্ধচিত্তে সংসার প্রলোভনে হাবুডুবু থাইতেছে, তাহার। শাক্তাধম ; যে ব্যক্তি প্রকৃতির অনল-বাহুর হাত এড়াইয়াছেন তিনি শক্তি উপাসক হইলেও বৈষ্ণব । শক্তি উপাসক কিম্বা কোন স্ত্রী দেবতার উপাসক যদি শাক্ত হইত, তবে রাধা-উপাসক পরম ভাগবত শুকদেব গোস্বামীও শাক্ত ; কিন্তু সকলেই তাহাকে পরম বৈষ্ণৰ বলিয়া জানে। এই হেতুবাদে রামপ্রসাদও পরম বৈষ্ণব । রামপ্রসাদ যেদিন গাহিলেন,— ভবেরে সব মাগীর থেলা । মাগীর আগুভাবে গুপ্ত লীলা ॥ সগুণে নিগুণ বধিয়ে বিবাদ ঢেলা দিয়া ভাঙ্গছে ঢেলা । ( সে যে ) সকল কাজে সমান রাজী নারাজ হয় সে কাজের বেলা ॥