পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)(ty প্রেমিক-গুরু রসতত্ব ও সাধ্যসাধনের অধিকারী নহে ; কাজেই বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মধ্যে অধিকাংশ ব্যক্তি নিৰ্ম্মল রাগমার্গে লক্ষ্য রাখিয়া সহজ ভজনপন্থা অবলম্বন করিয়াছে। তবে একথা অবশু স্বীকার করিতে হইবে যে, বৈষ্ণবধৰ্ম্মের অভু্যদ্বয়কালে বৈঞ্চবাচাৰ্য্যগণ যতদূর সম্ভব তন্ত্রোক্ত পশুভাবেরই প্রাধান্ত স্থাপন করিয়া, বাহ্যিক শৌচাচারের পক্ষপাতী হইয়াছিলেন । আহারে শৌচ, বিহারে শৌচ, সকল বিষয়ে শুচি-শুদ্ধ থাকিয়া নাম-ব্ৰহ্মজ্ঞানে কেবল মাত্র শ্ৰীভগবানের নাম-জপ দ্বারাই জীব সিদ্ধকাম হইবে, ইহাই তাহাদের মত বলিয়া প্রচার করিয়াছিলেন । কিন্তু তাহাদিগের তিরোভাবের স্বল্পকাল পরেই প্রবৃত্তিপূর্ণ মানবমন তাহাদের প্রবর্তিত শুদ্ধ মার্গেও কলুষিত ভাব সকল প্রবেশ করাইয়া ফেলিল। স্বাক্ষভাবটুকু ছাড়িয়া স্থূলবিষয় গ্রহণ করিয়া বসিল-পরকীয়া নায়িকার উপপতির প্রতি আন্তরিক টানটুকু গ্রহণ করতঃ ঈশ্বরে উহার আরোপ না করিয়া পরকীয়া স্ত্রী লইয়া সাধন আরম্ভ করিয়া দিল । এইরূপে তাহদের প্রবর্তিত শুদ্ধ-যোগ-মার্গের ভিতরেও কিছু কিছু ভোগ প্রবেশ করাইয়া উহাকে কতকটা নিজের প্রবৃত্তির মত করিয়া লইল । আর না করিয়াই বা সে কি করে ? সে যে অত শুদ্ধ ভাবে চলিতে অক্ষম । সে যে যোগ ও ভোগের মিশ্রিত ভাবই গ্রহণ করিতে পারে। সে ধৰ্ম্ম লাভ চায় ; কিন্তু তৎসঙ্গে একটু আধটু রূপরসাদি ভোগেরও লালসা রাখে। সেই জন্যই বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের ভিতর কর্তা-ভজা, আউল, বাউল, সাই, দরবেশ, সহজিয়া, আলেখিয়া প্রভৃতি মতের উপাসনা ও গুপ্তসাধন-প্রণালী সকলের উৎপত্তি। তাহারা তন্ত্রোক্ত পশ্বাচারের পরিবর্তে কুলাচার প্রথা অবলম্বন করিয়া বসিল । বঙ্গদেশের প্রতি নগরে-প্রতি গ্রামে- প্রতি পল্লীতে এইরূপ বৈষ্ণবের স্বতন্ত্র পল্লী বসিয়া গিয়াছে। তাহারা খাবার যোগ ছাড়িয়া ভোগটুকু মাত্র গ্রহণ করিয়া ধৰ্ম্মজগতে ধ্বজ ড্রাইয়াছে। সাধারণ লোক